ছাত্রলীগ সভাপতি জয় ছাত্রদলে যুক্ত ছিলেন
লাইভে সহসভাপতি রিয়াদ
ঢাবি প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় একসময় ছাত্রদলে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সহসভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ। শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে ওই অভিযোগ করেন তিনি। রিয়াদের এ লাইভের পর থেকে ছাত্রলীগে তোলপাড় চলছে। এ বিষয়ে জানতে রোববার সারা দিনে বেশ কয়েকবার জয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়-কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি, সরাসরিও তাকে পাওয়া যায়নি।
লাইভে রিয়াদ বলেন, জয়ের বাবা ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বাবুগঞ্জ-উজিরপুর আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সেই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তার বাবা ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বিমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছিলেন। তিনি তৎকালীন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার পিএ-এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির যে নির্বাচন আওয়ামী লীগ বর্জন করেছিল, সেই নির্বাচনে বিএনপির ডামি প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিলেন জয়ের বাবা।
ছাত্রলীগের সভাপতির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন জয়। তখন তার ফুপাতো ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তার কক্ষে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন জয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে তিনি ছাত্রদলের হয়ে ধানের শীষে ভোট চেয়েছিলেন। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আপন চাচাতো ভাইকে নিজের ক্ষমতাবলে নৌকার বিরুদ্ধে জিতিয়েছেন জয়।
লাইভের একপর্যায়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন রিয়াদ। আল নাহিয়ান ও লেখক ভট্টাচার্য অনিয়মতান্ত্রিক ও সংগঠনবিরোধী অনেক কর্মকাণ্ড করে সংগঠনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী পদ হারালে তখন আল নাহিয়ান খান জয়কে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের ‘ভারমুক্ত’ করে দেওয়া হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
লাইভে সহসভাপতি রিয়াদ
ছাত্রলীগ সভাপতি জয় ছাত্রদলে যুক্ত ছিলেন
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় একসময় ছাত্রদলে যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সহসভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ। শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে ওই অভিযোগ করেন তিনি। রিয়াদের এ লাইভের পর থেকে ছাত্রলীগে তোলপাড় চলছে। এ বিষয়ে জানতে রোববার সারা দিনে বেশ কয়েকবার জয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়-কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি, সরাসরিও তাকে পাওয়া যায়নি।
লাইভে রিয়াদ বলেন, জয়ের বাবা ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বাবুগঞ্জ-উজিরপুর আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সেই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তার বাবা ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বিমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছিলেন। তিনি তৎকালীন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার পিএ-এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির যে নির্বাচন আওয়ামী লীগ বর্জন করেছিল, সেই নির্বাচনে বিএনপির ডামি প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিলেন জয়ের বাবা।
ছাত্রলীগের সভাপতির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রসঙ্গে রিয়াদ বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন জয়। তখন তার ফুপাতো ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তার কক্ষে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিং করেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন জয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে তিনি ছাত্রদলের হয়ে ধানের শীষে ভোট চেয়েছিলেন। সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আপন চাচাতো ভাইকে নিজের ক্ষমতাবলে নৌকার বিরুদ্ধে জিতিয়েছেন জয়।
লাইভের একপর্যায়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন রিয়াদ। আল নাহিয়ান ও লেখক ভট্টাচার্য অনিয়মতান্ত্রিক ও সংগঠনবিরোধী অনেক কর্মকাণ্ড করে সংগঠনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী পদ হারালে তখন আল নাহিয়ান খান জয়কে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের ‘ভারমুক্ত’ করে দেওয়া হয়।