অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত রাশিদা পেলেন রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ৪টি মামলা ছিল। ২০১৬ সালে এসব মামলার তথ্য গোপন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতীত কাউন্সিলে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি। অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার পেলেন রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাশিদার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং মহাপরিচালক নার্সিং ও মিডওয়াইফারি বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের উক্ত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগকারী দুজন বাদী সোনালী রানী দাস এবং মো. সিদ্দিকুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত ও পর্যবেক্ষণ করে সংগৃহীত সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনায় ৩ জানুয়ারি যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে রাশিদা আক্তার ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসাবে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে যোগদান করার সময় তার বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল। নিয়োগকালে প্রাক পরিচয়-যাচাই বা পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ায় ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও রাশিদা আক্তার যোগদান করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি ত্রুটি হিসাবে বিবেচিত হয়। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ না করে শুধু কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাও ছিল একটি বড় ত্রুটি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এমন তদন্ত রিপোর্টের পরেও গতকাল সেই একই মন্ত্রণালয়ে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ প্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের (স্বানেপ) মহাসচিব ইকবাল হোসেন বলেন, আমাদের নার্সিং সেক্টরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক সম্মান ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। ঠিক সেই রকম একটি মুহূর্তে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে ত্রুটিযুক্ত অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পদে পদায়ন করলে নার্সিং সেক্টরকে কলুষিত করা হবে বলে মনে করি। বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি ইসমত আরা বলেন, রেজিস্ট্রারের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশ্নবিদ্ধ কাউকে নিয়োগ করা ঠিক হবে না। আমরা চাই নতুন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ একজনকে নিয়োগ দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে রাশিদা আক্তারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল
অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত রাশিদা পেলেন রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ ৪টি মামলা ছিল। ২০১৬ সালে এসব মামলার তথ্য গোপন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যতীত কাউন্সিলে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি। অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার পেলেন রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাশিদার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং মহাপরিচালক নার্সিং ও মিডওয়াইফারি বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের উক্ত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগকারী দুজন বাদী সোনালী রানী দাস এবং মো. সিদ্দিকুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তদন্ত ও পর্যবেক্ষণ করে সংগৃহীত সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনায় ৩ জানুয়ারি যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে রাশিদা আক্তার ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসাবে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে যোগদান করার সময় তার বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল। নিয়োগকালে প্রাক পরিচয়-যাচাই বা পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ায় ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও রাশিদা আক্তার যোগদান করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি ত্রুটি হিসাবে বিবেচিত হয়। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ না করে শুধু কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাও ছিল একটি বড় ত্রুটি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এমন তদন্ত রিপোর্টের পরেও গতকাল সেই একই মন্ত্রণালয়ে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ প্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের (স্বানেপ) মহাসচিব ইকবাল হোসেন বলেন, আমাদের নার্সিং সেক্টরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক সম্মান ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। ঠিক সেই রকম একটি মুহূর্তে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে ত্রুটিযুক্ত অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কাউন্সিলের সর্বোচ্চ পদে পদায়ন করলে নার্সিং সেক্টরকে কলুষিত করা হবে বলে মনে করি। বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি ইসমত আরা বলেন, রেজিস্ট্রারের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রশ্নবিদ্ধ কাউকে নিয়োগ করা ঠিক হবে না। আমরা চাই নতুন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ একজনকে নিয়োগ দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে রাশিদা আক্তারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।