রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা দেওয়া নিয়ে হাতাহাতি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুবি প্রতিনিধি
২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার (নিবন্ধক) দপ্তরে তালা দেওয়া নিয়ে পালটাপালটি অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের একটি অংশ রোববার সকালে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। আরেকটি অংশ এর বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটমাট করে দিয়েছি।
জানা গেছে, দাবি-দাওয়া পূরণ না করার অভিযোগে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের অপসারণ দাবি করে আসছে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির একটি অংশ। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন আশ্বাস দিয়েও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করেননি শিক্ষক থেকে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। এজন্য তাকে অপসারণ করে সেখানে কর্মকর্তা থেকেই কাউকে বসানোর দাবি জানান তারা।
কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমান রেজিস্ট্রার আসার পর থেকে গত ৪ বছরে আমরা আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। তাই কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
তবে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, কর্মকর্তা সমিতি থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্য কোনো সংগঠন থেকে তালা ঝুলানো হতে পারে।
এ দিকে রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। ৮২ জন কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ও বর্তমান প্রশাসন সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে সাধারণ কর্মচারীরা অবগত নন। তারা বলেন, সমিতির সাধারণ কর্মচারীদের মতামত না নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়া চাকরির বিধির পরিপন্থি। সাধারণ কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো বিষয়ে তারা একমত নন। তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, গুটিকয়েক ব্যক্তি রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দিয়ে তার অপসারণ চেয়েছে। আমরা তার অপসারণ চাই না। তবে আট দফা দাবি পূরণের জন্য আমরা আন্দোলন করব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা দেওয়া নিয়ে হাতাহাতি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) রেজিস্ট্রার (নিবন্ধক) দপ্তরে তালা দেওয়া নিয়ে পালটাপালটি অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের একটি অংশ রোববার সকালে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। আরেকটি অংশ এর বিরোধিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটমাট করে দিয়েছি।
জানা গেছে, দাবি-দাওয়া পূরণ না করার অভিযোগে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের অপসারণ দাবি করে আসছে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির একটি অংশ। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন আশ্বাস দিয়েও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করেননি শিক্ষক থেকে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার। এজন্য তাকে অপসারণ করে সেখানে কর্মকর্তা থেকেই কাউকে বসানোর দাবি জানান তারা।
কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমান রেজিস্ট্রার আসার পর থেকে গত ৪ বছরে আমরা আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। তাই কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
তবে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা দেওয়ার বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, কর্মকর্তা সমিতি থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্য কোনো সংগঠন থেকে তালা ঝুলানো হতে পারে।
এ দিকে রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা দেওয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। ৮২ জন কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ও বর্তমান প্রশাসন সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে সাধারণ কর্মচারীরা অবগত নন। তারা বলেন, সমিতির সাধারণ কর্মচারীদের মতামত না নিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়া চাকরির বিধির পরিপন্থি। সাধারণ কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো বিষয়ে তারা একমত নন। তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, গুটিকয়েক ব্যক্তি রেজিস্ট্রার দফতরে তালা দিয়ে তার অপসারণ চেয়েছে। আমরা তার অপসারণ চাই না। তবে আট দফা দাবি পূরণের জন্য আমরা আন্দোলন করব।