অসংক্রামক রোগীদের করোনা-পরবর্তী উপসর্গ বেশি: আইইডিসিআর
jugantor
অসংক্রামক রোগীদের করোনা-পরবর্তী উপসর্গ বেশি: আইইডিসিআর

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

দেশে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে কাবু হচ্ছে বেশি। তাদের ক্ষেত্রে করোনা-পরবর্তী উপসর্গ দুই থেকে তিনগুণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এমনকি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এক বছর পরও উপসর্গসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তাদের দেখা দিতে পারে। সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক গবেষণা শেষে বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছে। গবেষণার প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে তা নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে আইইডিসিআর। যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) সহযোগিতায় আইইডিসিআরের ফিল্ড এপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম (এফইটিপি-বি) এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গ পরবর্তী জটিলতাগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে গবেষণাটি কতদিন পর্যন্ত এবং কতজন রোগীর ওপর পরিচালিত হয়েছে তা জানায়নি আইইডিসিআর।

গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত অনেক রোগী সংক্রমণের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উপসর্গে ভুগে থাকেন। যাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ বা পোস্ট কোভিড কন্ডিশনস বলছে। এতে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার তিন মাস পর ৭৮ শতাংশ মানুষের শরীরে উপসর্গ দেখা গেছে। এছাড়া ছয় মাস পর ৭০ শতাংশ, ৯ মাস পর ৬৮ শতাংশ এবং এক বছর পর ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ দেখা গেছে।

গবেষণার বরাত দিয়ে আইইডিসিআর বলছে, অসংক্রামক রোগ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গের আশঙ্কা ২ থেকে ৩ গুণ বেশি। এতে প্রতীয়মান হয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের করোনাভাইরাস পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়া কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া জরুরি। আইইডিসির আরও জানিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন, তাদের করোনা-পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যারা ওষুধ খান না তাদের চেয়ে ৯ ভাগ কম। একইভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এ আশঙ্কা সাত ভাগ কম।

অসংক্রামক রোগীদের করোনা-পরবর্তী উপসর্গ বেশি: আইইডিসিআর

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২৮ জানুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

দেশে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে কাবু হচ্ছে বেশি। তাদের ক্ষেত্রে করোনা-পরবর্তী উপসর্গ দুই থেকে তিনগুণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এমনকি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এক বছর পরও উপসর্গসহ বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তাদের দেখা দিতে পারে। সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক গবেষণা শেষে বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছে। গবেষণার প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে তা নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে আইইডিসিআর। যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) সহযোগিতায় আইইডিসিআরের ফিল্ড এপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম (এফইটিপি-বি) এই গবেষণা পরিচালনা করেছে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গ পরবর্তী জটিলতাগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে গবেষণাটি কতদিন পর্যন্ত এবং কতজন রোগীর ওপর পরিচালিত হয়েছে তা জানায়নি আইইডিসিআর।

গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত অনেক রোগী সংক্রমণের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উপসর্গে ভুগে থাকেন। যাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ বা পোস্ট কোভিড কন্ডিশনস বলছে। এতে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার তিন মাস পর ৭৮ শতাংশ মানুষের শরীরে উপসর্গ দেখা গেছে। এছাড়া ছয় মাস পর ৭০ শতাংশ, ৯ মাস পর ৬৮ শতাংশ এবং এক বছর পর ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ দেখা গেছে।

গবেষণার বরাত দিয়ে আইইডিসিআর বলছে, অসংক্রামক রোগ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গের আশঙ্কা ২ থেকে ৩ গুণ বেশি। এতে প্রতীয়মান হয়, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের করোনাভাইরাস পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়া কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া জরুরি। আইইডিসির আরও জানিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন, তাদের করোনা-পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যারা ওষুধ খান না তাদের চেয়ে ৯ ভাগ কম। একইভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এ আশঙ্কা সাত ভাগ কম।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন