সাতকানিয়ায় গুলিতে শিশুসহ আহত ১৪
ইউপি নির্বাচন
ভালুকা ও মুরাদনগরে সংঘর্ষে আহত ২২
যুগান্তর ডেস্ক
২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী জসিম উদ্দীনও। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকতার হোসেন। এছাড়া বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ, কুমিল্লার মুরাদনগর ও ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা এবং দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় আরও ২২ জন আহত হয়েছেন। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম ও সাতকানিয়া : বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জসিম উদ্দীন তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে খাগরিয়ার ভোরবাজার গণিপাড়ায় গণসংযোগে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকতার হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা সেখানে গুলি চালায়। পরে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জসিম উদ্দীন ও শিশু মারুফসহ (১০) অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু মারুফসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। হামলার সময় বেশ কয়েকজন পথচারীও আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অপর আহতরা হলেন-ইসলাম খাতুন, শাহ আলম, আহমদ হোসেন, মুহিবুল, ইসলাম খাতুন, মো. রফিক, মো. ফারুক, মুন্সি মিয়া, আবদুল সালাম, আবছার উদ্দীন, সায়েদ ও আবু সুফিয়ান। আহত শিশু মারুফ খাগরিয়ার এয়াকুবের ছেলে।
জসিম উদ্দীন বলেন, আমি মিছিল সহকারে খাগরিয়া ভোরবাজার গেলে নৌকার প্রার্থী আকতার হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকতার হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজেই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে গুলি করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। তারা আমার বাড়ি ও নির্বাচনি অফিসও ভাঙচুর করেছে।
সাতকানিয়া থানার ওসি আবদুল জলিল যুগান্তরকে বলেন, খাগরিয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বরিশাল ও মেহেন্দিগঞ্জ : মেহেন্দিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উলানিয়ার কালীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মিলন চৌধুরী বলেন, হত্যা মামলার আসামি তারেক সরদারের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা কালীগঞ্জ বাজারে আমার নির্বাচনি কার্যালয় এবং সমর্থক মানিক মাঝির বসতঘর ও সেন্টু মাঝির ফলের দোকান ভাঙচুর করেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত তারেক সরদারের মামা হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, তারেক সরদার হামলা করেনি, তারেকের ওপর হামলা করেছে মিলন চৌধুরীর লোকজন।
কুমিল্লা : মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলামের নেতাকর্মীদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সওকত আহমেদের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়নের বাখরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সওকত বলেন, নৌকার কর্মী মোমেন আহমেদ, এনামুল হক, সাদ্দাম, রুবেলসহ ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থক মো. মাহবুব, সাগর, মামুন, জামাল, মিশনসহ ১০ জন আহত হন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী শফিকুল বলেন, আমার নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় জড়িত নন।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ ও দলটির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, কর্মী-সমর্থক নিয়ে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় গণসংযোগে যাওয়ার সময় নৌকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ৭ কর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারুন অর রশিদ বলেন, তারাই আমার সমর্থকদের ওপর আগে হামলা করে। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমার ৫ কর্মী আহত হয়েছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইউপি নির্বাচন
সাতকানিয়ায় গুলিতে শিশুসহ আহত ১৪
ভালুকা ও মুরাদনগরে সংঘর্ষে আহত ২২
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী জসিম উদ্দীনও। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকতার হোসেন। এছাড়া বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ, কুমিল্লার মুরাদনগর ও ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা এবং দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় আরও ২২ জন আহত হয়েছেন। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম ও সাতকানিয়া : বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জসিম উদ্দীন তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে খাগরিয়ার ভোরবাজার গণিপাড়ায় গণসংযোগে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকতার হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা সেখানে গুলি চালায়। পরে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জসিম উদ্দীন ও শিশু মারুফসহ (১০) অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শিশু মারুফসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। হামলার সময় বেশ কয়েকজন পথচারীও আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অপর আহতরা হলেন-ইসলাম খাতুন, শাহ আলম, আহমদ হোসেন, মুহিবুল, ইসলাম খাতুন, মো. রফিক, মো. ফারুক, মুন্সি মিয়া, আবদুল সালাম, আবছার উদ্দীন, সায়েদ ও আবু সুফিয়ান। আহত শিশু মারুফ খাগরিয়ার এয়াকুবের ছেলে।
জসিম উদ্দীন বলেন, আমি মিছিল সহকারে খাগরিয়া ভোরবাজার গেলে নৌকার প্রার্থী আকতার হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আকতার হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজেই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে গুলি করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। তারা আমার বাড়ি ও নির্বাচনি অফিসও ভাঙচুর করেছে।
সাতকানিয়া থানার ওসি আবদুল জলিল যুগান্তরকে বলেন, খাগরিয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বরিশাল ও মেহেন্দিগঞ্জ : মেহেন্দিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উলানিয়ার কালীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মিলন চৌধুরী বলেন, হত্যা মামলার আসামি তারেক সরদারের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা কালীগঞ্জ বাজারে আমার নির্বাচনি কার্যালয় এবং সমর্থক মানিক মাঝির বসতঘর ও সেন্টু মাঝির ফলের দোকান ভাঙচুর করেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত তারেক সরদারের মামা হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, তারেক সরদার হামলা করেনি, তারেকের ওপর হামলা করেছে মিলন চৌধুরীর লোকজন।
কুমিল্লা : মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলামের নেতাকর্মীদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সওকত আহমেদের নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়নের বাখরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সওকত বলেন, নৌকার কর্মী মোমেন আহমেদ, এনামুল হক, সাদ্দাম, রুবেলসহ ২০-৩০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমার সমর্থক মো. মাহবুব, সাগর, মামুন, জামাল, মিশনসহ ১০ জন আহত হন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী শফিকুল বলেন, আমার নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় জড়িত নন।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ ও দলটির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, কর্মী-সমর্থক নিয়ে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় গণসংযোগে যাওয়ার সময় নৌকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ৭ কর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারুন অর রশিদ বলেন, তারাই আমার সমর্থকদের ওপর আগে হামলা করে। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমার ৫ কর্মী আহত হয়েছেন।