এক বছরে পূর্ণডোজ টিকা পেয়েছে লক্ষ্যের অর্ধেক
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে করোনা টিকা দান শুরুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে বৃহস্পতিবার। এ সময়ে পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগ মানুষ। যা মোট জনসংখ্যার ৩৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর প্রথম ডোজ পেয়েছে ৮০ ভাগ মানুষ। যা মোট জনসংখ্যার ৫৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গত বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, সরকার দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ হিসাবে ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৯৫৩ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৭ জন।
এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩২১ জন। যা লক্ষ্য জনসংখ্যার ৮০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এছাড়া পূর্ণ দুই ডোজ পেয়েছে ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১১ হাজার ৫৩৮ জন। যা লক্ষ্যমাত্রার (অর্থাৎ ৭০ ভাগ মানুষের) শতকরা ৫৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।
মোট জনসংখ্যার বিবেচনায় ৩৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে দেশে এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি ৫১ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে পাঁচ ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে-অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না, সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার টিকাদানে সুফল মিলেছে। বয়স্কদের বড় একটি অংশ দুই ডোজ টিকা পাওয়ায় হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপ ও মৃত্যু কমেছে। ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে রোগী বাড়ছে। তবে সেই হারে হাসপাতালে রোগী ভর্তি কম হচ্ছেন। মৃত্যুর হারও কম।
সম্প্রতি এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার শুরুর দিকে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। রোগটি নতুন হওয়ায় চিকিৎসক, নার্সরা চিকিৎসা বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিল না। তবে দুই বছরে রোগীদের চিকিৎসা দিতে দিতে চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা অভিজ্ঞ হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতেও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা বেড়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এক বছরে পূর্ণডোজ টিকা পেয়েছে লক্ষ্যের অর্ধেক
দেশে করোনা টিকা দান শুরুর এক বছর পূর্ণ হয়েছে বৃহস্পতিবার। এ সময়ে পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগ মানুষ। যা মোট জনসংখ্যার ৩৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর প্রথম ডোজ পেয়েছে ৮০ ভাগ মানুষ। যা মোট জনসংখ্যার ৫৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গত বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, সরকার দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ হিসাবে ১১ কোটি ৯২ লাখ ২১ হাজার ৯৫৩ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৭ জন।
এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩২১ জন। যা লক্ষ্য জনসংখ্যার ৮০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। এছাড়া পূর্ণ দুই ডোজ পেয়েছে ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১১ হাজার ৫৩৮ জন। যা লক্ষ্যমাত্রার (অর্থাৎ ৭০ ভাগ মানুষের) শতকরা ৫৬ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।
মোট জনসংখ্যার বিবেচনায় ৩৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে দেশে এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি ৫১ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে পাঁচ ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে-অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না, সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক।
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার টিকাদানে সুফল মিলেছে। বয়স্কদের বড় একটি অংশ দুই ডোজ টিকা পাওয়ায় হাসপাতালে রোগী ভর্তির চাপ ও মৃত্যু কমেছে। ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে রোগী বাড়ছে। তবে সেই হারে হাসপাতালে রোগী ভর্তি কম হচ্ছেন। মৃত্যুর হারও কম।
সম্প্রতি এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার শুরুর দিকে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। রোগটি নতুন হওয়ায় চিকিৎসক, নার্সরা চিকিৎসা বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিল না। তবে দুই বছরে রোগীদের চিকিৎসা দিতে দিতে চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা অভিজ্ঞ হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতেও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা বেড়েছে।