পাবিপ্রবিতে স্ত্রীকে নিয়োগ চেষ্টা ব্যর্থ পরীক্ষা বানচাল
গণিত বিভাগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পাবনা প্রতিনিধি
২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্ত্রীর নিয়োগ নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়ে নিয়োগ পরীক্ষা বানচাল ও বিতর্কিত করাসহ বিলম্বিত করেছেন।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়। রেজিস্ট্রার দপ্তর জানায়, গণিত বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিভাগীয় প্লানিং কমিটির ১নং সদস্য ড. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে যথেষ্ট সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর ২৭ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় হারুন অর রশিদ নিজের স্ত্রী শিখা খাতুনকে নিয়োগের জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পোষ্য বা নিকটাত্মীয় চাকরি প্রার্থী থাকলে নিয়োগদাতা সদস্য কেউ নিয়োগ বোর্ডে থাকতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হারুন অর রশিদকে সরকারি নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানান। এরপর হারুন অর রশিদ তার স্ত্রীকে নিয়োগ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে ওইদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে ভিসির নির্দেশে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন। যা মিথ্যা ও বানোয়াট।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও উল্লেখ করে, হারুন অর রশিদের ওই সংবাদ সম্মেলনের ৬ মাস আগে অনুষ্ঠিত সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ নিয়ে জনৈক প্রার্থী আতিকুল ইসলাম অনিয়মের মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেন। পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যবধান ৬ মাস হলেও এই দু’জনের একই সংবাদ সম্মেলনে একই ধরনের অভিযোগের মধ্য দিয়ে তাদের মিথ্যা ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেয়েছে।
২৭ জানুয়ারি বিকালে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদ এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, নিয়োগে অস্বচ্ছতা, অনিয়ম হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীর নির্দেশে কর্মচারীরা তাকে লাঞ্ছিত করেছেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের ১৬ জুন নিয়োগ বোর্ডে মেধা যাচাই ও যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের না নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে থেকে ভিসি স্যার তার আপন ভাতিজি কানিজ ফাতেমাকে প্রথম শ্রেণির সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেন।
পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. হাসিবুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের স্ত্রী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এরপরই তিনি বিকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে মিথ্যা অভিযোগ করেন। পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম অস্বচ্ছতা হয়নি। আমি নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। জামায়াতপন্থি এই শিক্ষকের সঙ্গে আরও একটি চক্র আছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে নষ্ট করতে চায়।
ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, অস্বচ্ছ, অনিয়ম এবং অনৈতিক পন্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কাজ করা হয়নি। যে বা যারাই অভিযোগ করেছেন, তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পারেননি বা আমাকে ভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় একের পর এক উলটাপালটা ও মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ তুলে পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
গণিত বিভাগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পাবিপ্রবিতে স্ত্রীকে নিয়োগ চেষ্টা ব্যর্থ পরীক্ষা বানচাল
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্ত্রীর নিয়োগ নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়ে নিয়োগ পরীক্ষা বানচাল ও বিতর্কিত করাসহ বিলম্বিত করেছেন।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়। রেজিস্ট্রার দপ্তর জানায়, গণিত বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিভাগীয় প্লানিং কমিটির ১নং সদস্য ড. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে যথেষ্ট সময় নিয়ে যাচাই-বাছাই শেষে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর ২৭ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় হারুন অর রশিদ নিজের স্ত্রী শিখা খাতুনকে নিয়োগের জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, পোষ্য বা নিকটাত্মীয় চাকরি প্রার্থী থাকলে নিয়োগদাতা সদস্য কেউ নিয়োগ বোর্ডে থাকতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হারুন অর রশিদকে সরকারি নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানান। এরপর হারুন অর রশিদ তার স্ত্রীকে নিয়োগ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে ওইদিনই এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে ভিসির নির্দেশে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেন। যা মিথ্যা ও বানোয়াট।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও উল্লেখ করে, হারুন অর রশিদের ওই সংবাদ সম্মেলনের ৬ মাস আগে অনুষ্ঠিত সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ নিয়ে জনৈক প্রার্থী আতিকুল ইসলাম অনিয়মের মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেন। পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ব্যবধান ৬ মাস হলেও এই দু’জনের একই সংবাদ সম্মেলনে একই ধরনের অভিযোগের মধ্য দিয়ে তাদের মিথ্যা ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেয়েছে।
২৭ জানুয়ারি বিকালে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হারুন অর রশিদ এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, নিয়োগে অস্বচ্ছতা, অনিয়ম হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলীর নির্দেশে কর্মচারীরা তাকে লাঞ্ছিত করেছেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে সেকশন অফিসার পদে নিয়োগপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের ১৬ জুন নিয়োগ বোর্ডে মেধা যাচাই ও যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের না নিয়ে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে থেকে ভিসি স্যার তার আপন ভাতিজি কানিজ ফাতেমাকে প্রথম শ্রেণির সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দেন।
পাবিপ্রবির প্রক্টর ড. হাসিবুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের স্ত্রী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এরপরই তিনি বিকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে মিথ্যা অভিযোগ করেন। পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম অস্বচ্ছতা হয়নি। আমি নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম। জামায়াতপন্থি এই শিক্ষকের সঙ্গে আরও একটি চক্র আছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে নষ্ট করতে চায়।
ভিসি প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, অস্বচ্ছ, অনিয়ম এবং অনৈতিক পন্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কাজ করা হয়নি। যে বা যারাই অভিযোগ করেছেন, তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পারেননি বা আমাকে ভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় একের পর এক উলটাপালটা ও মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ তুলে পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন।