নৌকা ঘোড়া হরিণের হাট জমজমাট!
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীতে বসেছে অস্থায়ী ‘প্রতীক’ এর হাট। ব্যতিক্রমী এই হাটে বিক্রি হচ্ছে নৌকা, ঘোড়া, হরিণ, লাটিম, হাতপাখা, করাত, ট্রাক্টর, রেডিও, ঘুড়ি, মিষ্টি কুমড়া, ঝুড়ি প্রতীকের ছোট-বড় কোট পিন, প্রতীক কার্ড ও গলার ব্যাজ।
গতকাল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর পরই জমে উঠেছে এই হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সহজে বহনযোগ্য এসব প্রতীক নিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বসে পড়েছেন সকালে। কুসিক নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের কথা মাথায় রেখেই এরা ছুটে এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
দুপুর থেকেই এই হাটে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকে আবার কেনার পর পরই শার্ট বা পাঞ্জাবিতে গেঁথে নিচ্ছেন। কথা হয় প্রতীক ব্যবসায়ী মো. বাবুর সঙ্গে। তিনি এসেছেন ঢাকার শনিরআখড়া থেকে। ৪ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, যেখানে নির্বাচন সেখানেই আমরা ছুটে যাই। বৃহস্পতিবার রাতে এসেছি কুমিল্লায়। সকাল থেকেই এখানে বসেছি। বিক্রি ভালোই চলছে। এভাবে চলতে থাকলে হাজার দুয়েক টাকা লাভ হবে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে কাউন্সিল প্রার্থীদের প্রতীক। মো. রায়হান শেখ নামের আরেক ব্যবসায়ী এসেছেন রাজধানীর রায়েরবাগ থেকে। দুই বছর ধরে তিনি এই ব্যবসা করছেন। তার দোকানে রয়েছে ২০ ধরনের প্রতীকের কোট পিন, গলায় ঝুলানো ব্যাজ ও প্রতীকের কার্ড।
ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন রাজিব শেখর। টিভিতে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের খবর শুনে এসেছেন তিনি। রাজিব বলেন, আমরা ১০ থেকে ১৫ জন প্রতীক বিক্রি করতে এসেছি।
প্রত্যেকে ২ হাজার টাকা করে লাভের আশা করছি। কোট পিন ২৫-৩০ টাকা, গলার ব্যাজ সাইজ ভেদে ৩০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমাদের কাজই হচ্ছে শহরে শহরে ঘুরে প্রতীক বিক্রি করা। এসব করেই সংসার চলে আমাদের।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নৌকা ঘোড়া হরিণের হাট জমজমাট!
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীতে বসেছে অস্থায়ী ‘প্রতীক’ এর হাট। ব্যতিক্রমী এই হাটে বিক্রি হচ্ছে নৌকা, ঘোড়া, হরিণ, লাটিম, হাতপাখা, করাত, ট্রাক্টর, রেডিও, ঘুড়ি, মিষ্টি কুমড়া, ঝুড়ি প্রতীকের ছোট-বড় কোট পিন, প্রতীক কার্ড ও গলার ব্যাজ।
গতকাল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর পরই জমে উঠেছে এই হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সহজে বহনযোগ্য এসব প্রতীক নিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বসে পড়েছেন সকালে। কুসিক নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের কথা মাথায় রেখেই এরা ছুটে এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
দুপুর থেকেই এই হাটে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকে আবার কেনার পর পরই শার্ট বা পাঞ্জাবিতে গেঁথে নিচ্ছেন। কথা হয় প্রতীক ব্যবসায়ী মো. বাবুর সঙ্গে। তিনি এসেছেন ঢাকার শনিরআখড়া থেকে। ৪ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, যেখানে নির্বাচন সেখানেই আমরা ছুটে যাই। বৃহস্পতিবার রাতে এসেছি কুমিল্লায়। সকাল থেকেই এখানে বসেছি। বিক্রি ভালোই চলছে। এভাবে চলতে থাকলে হাজার দুয়েক টাকা লাভ হবে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে কাউন্সিল প্রার্থীদের প্রতীক। মো. রায়হান শেখ নামের আরেক ব্যবসায়ী এসেছেন রাজধানীর রায়েরবাগ থেকে। দুই বছর ধরে তিনি এই ব্যবসা করছেন। তার দোকানে রয়েছে ২০ ধরনের প্রতীকের কোট পিন, গলায় ঝুলানো ব্যাজ ও প্রতীকের কার্ড।
ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন রাজিব শেখর। টিভিতে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের খবর শুনে এসেছেন তিনি। রাজিব বলেন, আমরা ১০ থেকে ১৫ জন প্রতীক বিক্রি করতে এসেছি।
প্রত্যেকে ২ হাজার টাকা করে লাভের আশা করছি। কোট পিন ২৫-৩০ টাকা, গলার ব্যাজ সাইজ ভেদে ৩০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমাদের কাজই হচ্ছে শহরে শহরে ঘুরে প্রতীক বিক্রি করা। এসব করেই সংসার চলে আমাদের।