ষষ্ঠ দিনের অভিযানে মিলল আয়াতের দুই পা
চট্টগ্রামে অপহরণের পর হত্যা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
০১ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অপহরণের পর নৃশংস হত্যার শিকার হতভাগ্য সেই শিশুর খণ্ডিত দুটি পা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের শেষ প্রান্তে একটি নালায় স্লুইস গেটের কাছে শিশুটির পায়ের বিচ্ছিন্ন দুই অংশ পাওয়া গেছে বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মর্জিনা আক্তার। খণ্ডিত অংশ দুটি উদ্ধারের সময় শিশুর স্বজনরা ও হাজার হাজার উৎসুক জনতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৫ নভেম্বর বিকালে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে চার বছর ১১ মাস বয়সী আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হন।
১০ দিন পর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে নিখোঁজ রহস্যের উদঘাটন করে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া আজহারুলের ছেলে আবির আলী। পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ আবিরকে আয়াত ‘চাচ্চু’ বলে সম্বোধন করত। ১৫ নভেম্বর বিকালে বাসার সামনে খেলায় মেতে থাকা অবস্থায় আয়াতকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে আবির ঢুকে যায় তার বাবার বাসায়, যেখানে তখন কেউ ছিল না। সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্বাসরোধে আয়াতকে খুন করে আবির। ১৫-২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের দুই মাস আগেই আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিল আবীর। হত্যার পর আয়াতকে কেটে ৬ টুকরা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছিল সাগরের তীরে। যাতে আলামত নষ্ট হয়ে যায়।
ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে আয়াত। তিনতলা ভবনের মালিক সোহেলের ওই এলাকায় একটি মুদির দোকান রয়েছে। আয়াত স্থানীয় তালীমূল কোরআন নূরানী মাদরাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল।
পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মর্জিনা আক্তার যুগান্তরকে বলেন, খুনের শিকার আয়াতের দুটি পা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব আলামত হিসাবে জব্দ করেছি। ঘাতক আবীরকে ৭ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করার পর তাকে নিয়ে আমরা নিহত আয়াতের দেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছি। ছয় দিনের মাথায় হতভাগ্য শিশুটির পায়ের দুটি বিচ্ছিন্ন অংশ মিলল। আবীরের আরও একদিনের রিমান্ড বাকি রয়েছে। তাকে আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। তার মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে আবিরের বোন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চট্টগ্রামে অপহরণের পর হত্যা
ষষ্ঠ দিনের অভিযানে মিলল আয়াতের দুই পা
অপহরণের পর নৃশংস হত্যার শিকার হতভাগ্য সেই শিশুর খণ্ডিত দুটি পা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের শেষ প্রান্তে একটি নালায় স্লুইস গেটের কাছে শিশুটির পায়ের বিচ্ছিন্ন দুই অংশ পাওয়া গেছে বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মর্জিনা আক্তার। খণ্ডিত অংশ দুটি উদ্ধারের সময় শিশুর স্বজনরা ও হাজার হাজার উৎসুক জনতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৫ নভেম্বর বিকালে নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানার মেয়ে চার বছর ১১ মাস বয়সী আলীনা ইসলাম আয়াত নিখোঁজ হন।
১০ দিন পর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে নিখোঁজ রহস্যের উদঘাটন করে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া আজহারুলের ছেলে আবির আলী। পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ আবিরকে আয়াত ‘চাচ্চু’ বলে সম্বোধন করত। ১৫ নভেম্বর বিকালে বাসার সামনে খেলায় মেতে থাকা অবস্থায় আয়াতকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে আবির ঢুকে যায় তার বাবার বাসায়, যেখানে তখন কেউ ছিল না। সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্বাসরোধে আয়াতকে খুন করে আবির। ১৫-২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের দুই মাস আগেই আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছিল আবীর। হত্যার পর আয়াতকে কেটে ৬ টুকরা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছিল সাগরের তীরে। যাতে আলামত নষ্ট হয়ে যায়।
ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে আয়াত। তিনতলা ভবনের মালিক সোহেলের ওই এলাকায় একটি মুদির দোকান রয়েছে। আয়াত স্থানীয় তালীমূল কোরআন নূরানী মাদরাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল।
পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) মর্জিনা আক্তার যুগান্তরকে বলেন, খুনের শিকার আয়াতের দুটি পা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব আলামত হিসাবে জব্দ করেছি। ঘাতক আবীরকে ৭ দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করার পর তাকে নিয়ে আমরা নিহত আয়াতের দেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছি। ছয় দিনের মাথায় হতভাগ্য শিশুটির পায়ের দুটি বিচ্ছিন্ন অংশ মিলল। আবীরের আরও একদিনের রিমান্ড বাকি রয়েছে। তাকে আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। তার মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে আবিরের বোন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।