চলতি অর্থবছর এডিপি বাস্তবায়ন ৯৩ শতাংশ হতে পারে
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী
আকাশে মেঘ জমলে তার প্রভাব সব জায়গায় পড়ে
যুগান্তর প্রতবেদন
০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, চলতি অর্থবছর ৯৩ শতাংশের মতো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হতে পারে।
তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই শতভাগ বাস্তবায়ন হোক। কিন্তু সেটি সম্ভব নয়। বিশ্বের কোন দেশই পয়েন্ট টু পয়েন্টে শতভাগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে না। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নিজ দপ্তরে এক ক্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট বা ডলার সংকটের প্রভাব সরাসরি উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর পড়ছে না। তবে আকাশে যখন মেঘ জমে কিংবা খারাপ অবস্থা হয় তখন তার প্রভাব সব জায়গায়ই পড়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় কিছুটা কম হচ্ছে। এজন্য আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিহীনতাও যেমন দায়ী, তেমনি তাদের দিকেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। সব মিলিয়ে কিছুটা কম ছাড় হলেও আস্তে আস্তে সেটি বৃদ্ধি পাবে। আর একটি বিষয় হলো এখন কৃচ্ছ্রসাধন চলছে। ফলে যেসব প্রকল্প বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং টাকা ব্যয় বেশি হচ্ছে সেগুলোতেই বরাদ্দ নিশ্চিত করা হচ্ছে আগে।’
তিনি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জমি অধিগ্রহণ। জমিতে হাত দেওয়াই যাচ্ছে না। কোথাও মাজার, কোথাও মসজিদ, মন্দির এবং কবরস্থানসহ নানা স্পর্শকারতর বিষয়। ফলে সেখানে কাজ করা যায় না। জমির বিষয়টি ভয়ংকর একটি বিষয়। সেই সঙ্গে ভূমি আইন সবচেয়ে আদি আইন। আমরা চাইলেও অনেক কিছুই করতে পারি না। জমি সমস্যার সমাধানে নানা সময় নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো কাজে আসছে না। এছাড়া অনেক প্রকল্প পরিচালকই এলাকায় থাকেন না। দেখা যায় প্রকল্প দুটি বা একটি উপজেলায় তিনি থাকেন ঢাকায়। ফলে কোন চিঠিপত্র দিলেও সময়মতো কাজ হয় না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থছাড় প্রক্রিয়ায় নানা বিষয় থাকে। ফলে ধাপে ধাপে টাকা ছাড় হতে যখন প্রয়েজনীয় হাতে টাকা যায় তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে শেষ সময় এডিপির বাস্তবায়ন বেড়ে যায়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী
চলতি অর্থবছর এডিপি বাস্তবায়ন ৯৩ শতাংশ হতে পারে
আকাশে মেঘ জমলে তার প্রভাব সব জায়গায় পড়ে
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, চলতি অর্থবছর ৯৩ শতাংশের মতো বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হতে পারে।
তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই শতভাগ বাস্তবায়ন হোক। কিন্তু সেটি সম্ভব নয়। বিশ্বের কোন দেশই পয়েন্ট টু পয়েন্টে শতভাগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে না। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নিজ দপ্তরে এক ক্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট বা ডলার সংকটের প্রভাব সরাসরি উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর পড়ছে না। তবে আকাশে যখন মেঘ জমে কিংবা খারাপ অবস্থা হয় তখন তার প্রভাব সব জায়গায়ই পড়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় কিছুটা কম হচ্ছে। এজন্য আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিহীনতাও যেমন দায়ী, তেমনি তাদের দিকেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। সব মিলিয়ে কিছুটা কম ছাড় হলেও আস্তে আস্তে সেটি বৃদ্ধি পাবে। আর একটি বিষয় হলো এখন কৃচ্ছ্রসাধন চলছে। ফলে যেসব প্রকল্প বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং টাকা ব্যয় বেশি হচ্ছে সেগুলোতেই বরাদ্দ নিশ্চিত করা হচ্ছে আগে।’
তিনি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জমি অধিগ্রহণ। জমিতে হাত দেওয়াই যাচ্ছে না। কোথাও মাজার, কোথাও মসজিদ, মন্দির এবং কবরস্থানসহ নানা স্পর্শকারতর বিষয়। ফলে সেখানে কাজ করা যায় না। জমির বিষয়টি ভয়ংকর একটি বিষয়। সেই সঙ্গে ভূমি আইন সবচেয়ে আদি আইন। আমরা চাইলেও অনেক কিছুই করতে পারি না। জমি সমস্যার সমাধানে নানা সময় নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলো কাজে আসছে না। এছাড়া অনেক প্রকল্প পরিচালকই এলাকায় থাকেন না। দেখা যায় প্রকল্প দুটি বা একটি উপজেলায় তিনি থাকেন ঢাকায়। ফলে কোন চিঠিপত্র দিলেও সময়মতো কাজ হয় না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থছাড় প্রক্রিয়ায় নানা বিষয় থাকে। ফলে ধাপে ধাপে টাকা ছাড় হতে যখন প্রয়েজনীয় হাতে টাকা যায় তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। ফলে শেষ সময় এডিপির বাস্তবায়ন বেড়ে যায়।