মেশিনগুলোর মান নির্ণয় করতে পারেনি কারিগরি কমিটিও
চট্টগ্রামে গাজী ওয়্যারস লি.
আহমেদ মুসা, চট্টগ্রাম
২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গাজী ওয়্যারস লিমিটেডকে (গাওলি) শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ছয়টি ভারী মেশিনারিজ ক্রয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৬৮ কোটি টাকায় কেনা ছয়টি মেশিন কোন দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তৈরি তা শনাক্ত করতে পারেনি কারিগরি কমিটিও। তবে কমিটি কারখানা পরিচালনা, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ১১টি সুপারিশ দিয়েছে। এদিকে, এ প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন গাজী ওয়্যারস লিমিটেডের সিবিএ নেতারা।
গাওলি শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ ইস্পাত প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) সাত সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করে। মঙ্গলবার এ কমিটি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে পুরকৌশল (ভবন) নির্মাণ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করা হয়নি। তবে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের জন্য কারখানা পরিচালনা, মেইনটেন্যান্সের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে সুপারিশ করেছে কমিটি। গাজী ওয়্যারস লিমিটেডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক সভায় (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
গাওলির কর্মকর্তারা জানান, ৮ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান খান প্রকল্প হস্তান্তর বিষয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কারিগরি কমিটি গঠন করেন। বিএসইসির প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিরুপম সিংহকে কারিগরি কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন-চুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরাফাত হোসেন ভূঞা, চট্টগ্রাম বিটাকের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হাবিবুর রহমান ও আতিকুল ইসলাম। এছাড়া বিএসইসি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাব্বির আওয়ালকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।
গাওলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাক্ষরিত ‘দুর্নীতি ও অনিয়ম পর্যালোচনা’ প্রতিবেদন সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনটিতে গাওলির প্রকল্প বাস্তবায়ন পরবর্তী চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়-প্যাকিং লিস্ট এবং জাহাজীকরণের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মেশিনগুলো সম্পর্কে নানা অসঙ্গতি পাওয়া যায়। মেশিনগুলো কোন দেশের তৈরি সে সম্পর্কে কমিটি সুনিশ্চিত হতে পারেনি। কারিগরি কমিটির সদস্য সচিব সাব্বির আওয়াল যুগান্তরকে বলেন, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ছয়টি মূল মেশিন কোন দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তৈরি তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আজ সংবাদ সম্মেলন : গাওলির সিবিএ’র যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পের বেশিরভাগ টাকা লুটপাট হয়েছে। প্রকল্পের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে আজ সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চট্টগ্রামে গাজী ওয়্যারস লি.
মেশিনগুলোর মান নির্ণয় করতে পারেনি কারিগরি কমিটিও
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান গাজী ওয়্যারস লিমিটেডকে (গাওলি) শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ছয়টি ভারী মেশিনারিজ ক্রয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৬৮ কোটি টাকায় কেনা ছয়টি মেশিন কোন দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তৈরি তা শনাক্ত করতে পারেনি কারিগরি কমিটিও। তবে কমিটি কারখানা পরিচালনা, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত ১১টি সুপারিশ দিয়েছে। এদিকে, এ প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন গাজী ওয়্যারস লিমিটেডের সিবিএ নেতারা।
গাওলি শক্তিশালী ও আধুনিকীকরণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশ ইস্পাত প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) সাত সদস্যের কারিগরি কমিটি গঠন করে। মঙ্গলবার এ কমিটি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে পুরকৌশল (ভবন) নির্মাণ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করা হয়নি। তবে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের জন্য কারখানা পরিচালনা, মেইনটেন্যান্সের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে সুপারিশ করেছে কমিটি। গাজী ওয়্যারস লিমিটেডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক সভায় (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
গাওলির কর্মকর্তারা জানান, ৮ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান খান প্রকল্প হস্তান্তর বিষয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কারিগরি কমিটি গঠন করেন। বিএসইসির প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিরুপম সিংহকে কারিগরি কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন-চুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক মামুনুর রশিদ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরাফাত হোসেন ভূঞা, চট্টগ্রাম বিটাকের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হাবিবুর রহমান ও আতিকুল ইসলাম। এছাড়া বিএসইসি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাব্বির আওয়ালকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।
গাওলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাক্ষরিত ‘দুর্নীতি ও অনিয়ম পর্যালোচনা’ প্রতিবেদন সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনটিতে গাওলির প্রকল্প বাস্তবায়ন পরবর্তী চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়-প্যাকিং লিস্ট এবং জাহাজীকরণের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মেশিনগুলো সম্পর্কে নানা অসঙ্গতি পাওয়া যায়। মেশিনগুলো কোন দেশের তৈরি সে সম্পর্কে কমিটি সুনিশ্চিত হতে পারেনি। কারিগরি কমিটির সদস্য সচিব সাব্বির আওয়াল যুগান্তরকে বলেন, কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ছয়টি মূল মেশিন কোন দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তৈরি তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আজ সংবাদ সম্মেলন : গাওলির সিবিএ’র যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পের বেশিরভাগ টাকা লুটপাট হয়েছে। প্রকল্পের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে আজ সংবাদ সম্মেলন করা হবে।