বায়ুদূষণের প্রভাবে অসুস্থ প্রজন্ম বেড়ে উঠবে: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
জাবি প্রতিনিধি
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বায়ুদূষণের কারণে একটা অসুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠবে। সব বয়সি মানুষ নানা রকম অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হবে, তাদের অসুখ বাড়তে থাকবে। দূষিত বায়ু সেবনে মানুষের শ্বাসকষ্ট বাড়ছে, কিডনি, মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র, স্নায়ুযন্ত্র এগুলো এফেক্টেড হচ্ছে। এখন বাতাসের যে অবস্থা তাতে নিয়ম হচ্ছে স্কুল-কলেজ সব ছুটি দিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে বাসায় অবস্থান করতে হবে।
বছরের পর বছর বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। যারা নীতিনির্ধারক তাদের তো এটা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা না থাকার কারণ হচ্ছে তারা খুব বেশি এফেক্টেড হচ্ছে না। তারা এসি গাড়িতে চলাফেরা করে। সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষত যারা ঢাকা শহরে সারাক্ষণ চলাফেরা করে স্কুল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষ, মধ্যবিত্ত তাদের সবারই শরীরের ওপর এই বায়ুদূষণ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। মেয়রদেরও কোনো মাথাব্যথা নেই। বাতাসের এ রকম একটা অবস্থা তারপরও আমরা সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের কাছে শুনি আমরা উন্নয়নের শিখরে চলে গেছি। উন্নয়নের শিখরে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার মতো অবস্থা। গত বছরও এ রকম অবস্থাই ছিল। বৃষ্টি হলে একটু ওঠানামা করে। কিন্তু সাধারণত এটা খুবই খারাপ অবস্থায় থাকে। তবে মন্ত্রী-এমপি, বিভিন্ন সংস্থার মহাপরিচালক, ইটভাটা, কলকারখানার যারা দেখাশোনা করে তারা এসি গাড়িতে চলে, তাই আসল অবস্থা বুঝতে পারে না। ঢাকা শহর পুরোটা একটা নরকে পরিণত হয়েছে, এটা টের পাচ্ছে না। তাদের এসি গাড়িতে চড়া বন্ধ করতে পারলে বুঝতে পারত পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলোর সমাধান কোন পথে সেটা তো সরকারের জানা। মানে দূষণ যেখান থেকে হচ্ছে সেটা বন্ধ করতে হবে। বায়ুদূষণ বেশি হয় ইটের ভাটা থেকে। এখন সব অবৈধ ইটের ভাটা চলছে এবং সেখান থেকে প্রভাবশালীরা কমিশন খাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত কনস্ট্রাকশন এগুলোর জন্য দায়ী। এগুলো তো সরকারের জানা। এইসব জানা বিষয়গুলো সমাধান করলেই হয়। সমাধান হচ্ছে না কারণ তারা এগুলোর কমিশনভোগী। কমিশন খাওয়া বন্ধ করে এগুলোর সমাধান করতে হবে, যার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বায়ুদূষণের প্রভাবে অসুস্থ প্রজন্ম বেড়ে উঠবে: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বায়ুদূষণের কারণে একটা অসুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠবে। সব বয়সি মানুষ নানা রকম অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হবে, তাদের অসুখ বাড়তে থাকবে। দূষিত বায়ু সেবনে মানুষের শ্বাসকষ্ট বাড়ছে, কিডনি, মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র, স্নায়ুযন্ত্র এগুলো এফেক্টেড হচ্ছে। এখন বাতাসের যে অবস্থা তাতে নিয়ম হচ্ছে স্কুল-কলেজ সব ছুটি দিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে বাসায় অবস্থান করতে হবে।
বছরের পর বছর বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। যারা নীতিনির্ধারক তাদের তো এটা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা না থাকার কারণ হচ্ছে তারা খুব বেশি এফেক্টেড হচ্ছে না। তারা এসি গাড়িতে চলাফেরা করে। সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষত যারা ঢাকা শহরে সারাক্ষণ চলাফেরা করে স্কুল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষ, মধ্যবিত্ত তাদের সবারই শরীরের ওপর এই বায়ুদূষণ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। মেয়রদেরও কোনো মাথাব্যথা নেই। বাতাসের এ রকম একটা অবস্থা তারপরও আমরা সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের কাছে শুনি আমরা উন্নয়নের শিখরে চলে গেছি। উন্নয়নের শিখরে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার মতো অবস্থা। গত বছরও এ রকম অবস্থাই ছিল। বৃষ্টি হলে একটু ওঠানামা করে। কিন্তু সাধারণত এটা খুবই খারাপ অবস্থায় থাকে। তবে মন্ত্রী-এমপি, বিভিন্ন সংস্থার মহাপরিচালক, ইটভাটা, কলকারখানার যারা দেখাশোনা করে তারা এসি গাড়িতে চলে, তাই আসল অবস্থা বুঝতে পারে না। ঢাকা শহর পুরোটা একটা নরকে পরিণত হয়েছে, এটা টের পাচ্ছে না। তাদের এসি গাড়িতে চড়া বন্ধ করতে পারলে বুঝতে পারত পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলোর সমাধান কোন পথে সেটা তো সরকারের জানা। মানে দূষণ যেখান থেকে হচ্ছে সেটা বন্ধ করতে হবে। বায়ুদূষণ বেশি হয় ইটের ভাটা থেকে। এখন সব অবৈধ ইটের ভাটা চলছে এবং সেখান থেকে প্রভাবশালীরা কমিশন খাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত কনস্ট্রাকশন এগুলোর জন্য দায়ী। এগুলো তো সরকারের জানা। এইসব জানা বিষয়গুলো সমাধান করলেই হয়। সমাধান হচ্ছে না কারণ তারা এগুলোর কমিশনভোগী। কমিশন খাওয়া বন্ধ করে এগুলোর সমাধান করতে হবে, যার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না।