ভূঞাপুর পৌর মেয়রের গাড়ি বহরে হামলা
jugantor
ভূঞাপুর পৌর মেয়রের গাড়ি বহরে হামলা

  গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি  

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এতে ৩ সাংবাদিকসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর হয়েছে ২টি প্রাইভেটকার ও ১০টি মোটরসাইকেল। আহত সাংবাদিকরা হলেন-ঢাকাপোস্ট.কমের জেলা প্রতিনিধি অভিজিৎ ঘোষ, ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান আশিকুর রহমান ও ঢাকা প্রকাশের জেলা প্রতিনিধি ফরমান শেখ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালপুর উপজেলার আলমনগর বোর্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ আগামী জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে এমপি পদে নির্বাচন করতে চান। এ নিয়ে তার সঙ্গে বর্তমান এমপি ছোট মনিরের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব চলছে। এর মধ্যেই মাসুদুল হক নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের বোর্ড বাজারসহ কয়েক স্থানে সমাবেশ ও কম্বল বিতরণ করতে আসেন। গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে নৌকার বিপক্ষে ইউপি নির্বাচন করার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক লুৎফর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচি দেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। মেয়রের গাড়িবহর আলমনগর বোর্ডবাজার এলাকায় পৌঁছামাত্র স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। মেয়রের সফরসঙ্গী সাংবাদিকরা ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন।

মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণকে জানানোর জন্য লিফলেট ও কম্বল বিতরণ করতে গোপালপুরে যাচ্ছিলাম। পথে এমপি ছোট মনিরের নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা প্রথমে গুলি করে। পরে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মারধর করে। আহত সাংবাদিকরা জানান, এ ঘটনায় সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুটি প্রাইভেটকার ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন জানান, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা লুৎফরের মাধ্যমে আলমনগর ইউনিয়নে কম্বল বিতরণ করতে আসার খবর শুনে নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেয়। এ সময় মেয়রের লোকরা তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দুপক্ষকে দুদিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে গুলি করা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি (মাসুদুল হক মাসুদ) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের না জানিয়ে বিদ্রোহীদের নিয়ে সব জায়গায় গণসংযোগ করছেন। এ কারণে তাদের সঙ্গে গোপালপুর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তর্কাতর্কি হয়েছে বলে শুনেছি।

ভূঞাপুর পৌর মেয়রের গাড়ি বহরে হামলা

 গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এতে ৩ সাংবাদিকসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর হয়েছে ২টি প্রাইভেটকার ও ১০টি মোটরসাইকেল। আহত সাংবাদিকরা হলেন-ঢাকাপোস্ট.কমের জেলা প্রতিনিধি অভিজিৎ ঘোষ, ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান আশিকুর রহমান ও ঢাকা প্রকাশের জেলা প্রতিনিধি ফরমান শেখ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালপুর উপজেলার আলমনগর বোর্ড বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ আগামী জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে এমপি পদে নির্বাচন করতে চান। এ নিয়ে তার সঙ্গে বর্তমান এমপি ছোট মনিরের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব চলছে। এর মধ্যেই মাসুদুল হক নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের বোর্ড বাজারসহ কয়েক স্থানে সমাবেশ ও কম্বল বিতরণ করতে আসেন। গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে নৌকার বিপক্ষে ইউপি নির্বাচন করার অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক লুৎফর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচি দেন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। মেয়রের গাড়িবহর আলমনগর বোর্ডবাজার এলাকায় পৌঁছামাত্র স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। মেয়রের সফরসঙ্গী সাংবাদিকরা ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন।

মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণকে জানানোর জন্য লিফলেট ও কম্বল বিতরণ করতে গোপালপুরে যাচ্ছিলাম। পথে এমপি ছোট মনিরের নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা প্রথমে গুলি করে। পরে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মারধর করে। আহত সাংবাদিকরা জানান, এ ঘটনায় সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুটি প্রাইভেটকার ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন জানান, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগকে না জানিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা লুৎফরের মাধ্যমে আলমনগর ইউনিয়নে কম্বল বিতরণ করতে আসার খবর শুনে নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দেয়। এ সময় মেয়রের লোকরা তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে। পরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। দুপক্ষকে দুদিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে গুলি করা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি (মাসুদুল হক মাসুদ) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের না জানিয়ে বিদ্রোহীদের নিয়ে সব জায়গায় গণসংযোগ করছেন। এ কারণে তাদের সঙ্গে গোপালপুর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তর্কাতর্কি হয়েছে বলে শুনেছি।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন