শাবির হলে মাঝরাতে ফের ছাত্রলীগের উত্তেজনা
শাবি প্রতিনিধি
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শাহপরাণ হলে আবারও শাখা ছাত্রলীগের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় শাখা ছাত্রলীগ নেতা সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে তারই গ্রুপের এক নেতাকে মারধর এবং হলে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। রোববার মাঝরাতে ওই হলে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার সানজিদ চৌধুরী তন্ময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত প্রায় দেড়টার দিকে তন্ময় শাহপরাণ হলের ৪২৫ নম্বর রুমে গেলে সজিবুরের নির্দেশে সমর্থক বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময়কে মারধর করেন। পরে তাকে বের করে নিচতলা দিয়ে মারতে মারতে হলের গেস্টরুমে নিয়ে এসে বেঁধে রাখা হয়।
এ বিষয়ে তন্ময় বলেন, আমি শাহপরাণ হলের ৪২৫ নম্বর কক্ষে ভর্তি হয়েছি। রোববার রাতে ওই রুমে গেলে তারা কয়েকজন আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি নাকি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ আল আসাদের রাজনীতি করি। এজন্য অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে তারা আমাকে হল থেকে বিতাড়িত করতে চায়। আমি না গেলে তারা আমাকে মারধর করে। তারপর গেস্ট রুমে নিয়ে আমার হাত বেঁধে ফেলে।
তবে সাজ্জাদ হোসেন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সে আমাদের জুনিয়রের রুমে ঢুকেছিল।
পরে সজীব ভাই আমাকে যেতে বলেছিল গ্রুপের সিনিয়র হিসাবে। তারপর আমি সেখানে গেছি। তন্ময় আমাদের কাছের ও আদরের ছোট ভাই। তাকে মারার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সিনিয়রদের সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা পরে তাকে বুঝিয়ে গেস্টরুমে নিয়ে আসি। পরে স্যাররা কথা বলে তাকে মেসে পাঠিয়েছে। তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এটা আমার সামনে হয়নি।
ছাত্রলীগ নেতা সজিবুর রহমান বলেন, তন্ময় হল থেকে বের হতে চাইছিল, সেজন্য আমরা তাকে জোরপূর্বক গেস্ট রুমে নিয়ে আসি। এখানে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তার এ অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, তন্ময় রাতে হলে এলে গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আমরা পরিস্থিতি বুঝে তাকে তার মেসে পাঠাই। সে হলের বৈধ শিক্ষার্থী না। মারধরের ব্যাপারে সে আমাকে কোনো অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন ২০১৯ সালে সিলেটের লাক্কাতুরা মন্দিরের কাছ থেকে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে এয়ারপোর্ট থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা করেন ওই থানার এক কর্মকর্তা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
শাবির হলে মাঝরাতে ফের ছাত্রলীগের উত্তেজনা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শাহপরাণ হলে আবারও শাখা ছাত্রলীগের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় শাখা ছাত্রলীগ নেতা সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে তারই গ্রুপের এক নেতাকে মারধর এবং হলে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। রোববার মাঝরাতে ওই হলে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার সানজিদ চৌধুরী তন্ময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত প্রায় দেড়টার দিকে তন্ময় শাহপরাণ হলের ৪২৫ নম্বর রুমে গেলে সজিবুরের নির্দেশে সমর্থক বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী তন্ময়কে মারধর করেন। পরে তাকে বের করে নিচতলা দিয়ে মারতে মারতে হলের গেস্টরুমে নিয়ে এসে বেঁধে রাখা হয়।
এ বিষয়ে তন্ময় বলেন, আমি শাহপরাণ হলের ৪২৫ নম্বর কক্ষে ভর্তি হয়েছি। রোববার রাতে ওই রুমে গেলে তারা কয়েকজন আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি নাকি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ আল আসাদের রাজনীতি করি। এজন্য অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে তারা আমাকে হল থেকে বিতাড়িত করতে চায়। আমি না গেলে তারা আমাকে মারধর করে। তারপর গেস্ট রুমে নিয়ে আমার হাত বেঁধে ফেলে।
তবে সাজ্জাদ হোসেন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সে আমাদের জুনিয়রের রুমে ঢুকেছিল।
পরে সজীব ভাই আমাকে যেতে বলেছিল গ্রুপের সিনিয়র হিসাবে। তারপর আমি সেখানে গেছি। তন্ময় আমাদের কাছের ও আদরের ছোট ভাই। তাকে মারার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সিনিয়রদের সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা পরে তাকে বুঝিয়ে গেস্টরুমে নিয়ে আসি। পরে স্যাররা কথা বলে তাকে মেসে পাঠিয়েছে। তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এটা আমার সামনে হয়নি।
ছাত্রলীগ নেতা সজিবুর রহমান বলেন, তন্ময় হল থেকে বের হতে চাইছিল, সেজন্য আমরা তাকে জোরপূর্বক গেস্ট রুমে নিয়ে আসি। এখানে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তার এ অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, তন্ময় রাতে হলে এলে গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আমরা পরিস্থিতি বুঝে তাকে তার মেসে পাঠাই। সে হলের বৈধ শিক্ষার্থী না। মারধরের ব্যাপারে সে আমাকে কোনো অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন ২০১৯ সালে সিলেটের লাক্কাতুরা মন্দিরের কাছ থেকে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে এয়ারপোর্ট থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা করেন ওই থানার এক কর্মকর্তা।