সামান্য কমেছে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ
আর্থিক খাত শৃঙ্খলায় সহায়ক হবে
ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ সামান্য কমেছে। খেলাপি ঋণ অব্যাহতভাবে কমতে থাকলে সামগ্রিকভাবে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, যা ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য একটি শুভ সূচনা বলে মনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়মিত ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিরসন করে আদায় জোরদার করা হয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে স্পেশাল মনিটরিং সেল গঠনসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাম্প্রতিককালে ঋণ আদায় বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খেলাপি ঋণের অঙ্ক কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে শতকরা হিসাবেও খেলাপি ঋণ কমেছে, যা ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনায়নে একটি শুভ সূচনা বলে চিহ্নিত করা যায়।
খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন ঋণ যাতে খেলাপি হতে না পারে সেজন্য ৮টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ও ৪টি সরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় খেলাপি ঋণ ও নতুন ঋণ আদায়ের বিষয়টি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এতে খেলাপি ঋণ আদায় বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ সামান্য কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। আলোচ্য তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ১৩ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। মোট ঋণ বিতরণের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এর আগে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ অব্যাহত গতিতে বাড়ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এদিকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত আরোপ করেছে তার মধ্যে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমানোর বিষয়টিও রয়েছে। তাদের শর্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশ ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে তা ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। এ শর্ত বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন কোনো ঋণ যাতে খেলাপি না হতে পারে সেজন্য ব্যাংকগুলোতে তদারকি জোরদার করেছে।
আর্থিক খাত শৃঙ্খলায় সহায়ক হবে
সামান্য কমেছে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ
যুগান্তর প্রতিবেদন
২১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ সামান্য কমেছে। খেলাপি ঋণ অব্যাহতভাবে কমতে থাকলে সামগ্রিকভাবে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, যা ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য একটি শুভ সূচনা বলে মনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়মিত ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিরসন করে আদায় জোরদার করা হয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে স্পেশাল মনিটরিং সেল গঠনসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাম্প্রতিককালে ঋণ আদায় বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খেলাপি ঋণের অঙ্ক কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে শতকরা হিসাবেও খেলাপি ঋণ কমেছে, যা ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আনায়নে একটি শুভ সূচনা বলে চিহ্নিত করা যায়।
খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন ঋণ যাতে খেলাপি হতে না পারে সেজন্য ৮টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ও ৪টি সরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় খেলাপি ঋণ ও নতুন ঋণ আদায়ের বিষয়টি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এতে খেলাপি ঋণ আদায় বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ সামান্য কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। আলোচ্য তিন মাসে খেলাপি ঋণ কমেছে ১৩ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। মোট ঋণ বিতরণের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এর আগে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ অব্যাহত গতিতে বাড়ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এদিকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত আরোপ করেছে তার মধ্যে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমানোর বিষয়টিও রয়েছে। তাদের শর্ত অনুযায়ী সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশ ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে তা ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। এ শর্ত বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন কোনো ঋণ যাতে খেলাপি না হতে পারে সেজন্য ব্যাংকগুলোতে তদারকি জোরদার করেছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023