গ্রেফতারের চার দিন পর জানা গেল পরোয়ানা ভুয়া!
রায়পুরে পান দোকানির কারাভোগ
তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর)
২২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রায়পুর উপজেলায় পান দোকানি আবদুল কাদের কালুকে বিনা দোষে চারদিনের কারাভোগ করতে হয়েছে। তবে কারাভোগের পর জানা গেছে-যে গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা ছিল ভুয়া।
শুক্রবার রায়পুরের মিতালি বাজার থেকে কালুকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠায়। রায়পুর কাজিরচর গ্রামের নুরুর হকের ছেলে কালুকে গ্রেফতার করার সময় এএসআই আফজাল জানান, বরিশালের কোতোয়ালি থানার দুটি মাদক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি কালু। লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কালুকে সোপর্দ করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা জজ আদালতের আইজীবী শাকিল পাটোয়ারী জানান, কালুর পরিবার মামলা নম্বর নিয়ে এলে খোঁজখবর করি। বরিশাল আদালত ও কোতোয়ালি থানায় খবর নিই। ২০২১ সালের মামলা হওয়ায় থানা তেমন কিছু জানাতে পারেনি। আদালত থেকে বের করা নথি থেকে জানা যায়-গ্রেফতারি পরোয়ানায় কালুর নাম থাকলেও দুই মামলার কোথাও তার নাম নেই। একটি মামলার রায় হয়েছে। বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করা হলে কালুকে জামিন দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, এটি ভুয়া পরোয়ানা ছিল। এর সঙ্গে আদালতের দালালরা জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা এগুলো করে। আইনজীবীরাও জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ জানায়, ডাকে আসা পরোয়ানা নকল না আসল তা যাচাই করার কোনো পন্থা নেই। নথি অন্য জেলায় থাকলে তা খুঁজে বের করতে অনেক সময় লাগে। ততদিন গ্রেফতার ব্যক্তিকে কারাগারেই থাকতে হয়। এ ধরনের ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় অসহায় মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে পুলিশ স্বীকার করেছে। কালুর বাবা নুরুর হক যুগান্তরকে বলেন, বিনা অপরাধে আমার ছেলে চারদিন জেল খেটেছে। এর বিচার চাই। রায়পুর থানার এসআই মো. এরফান যুগান্তরকে জানান, অন্য জেলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠিকানা অনুযায়ী থানায় আসে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে পুলিশ আসামি গ্রেফতার করে। গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলো সব একই রকম। কোনটা আসল, কোনটা নকল তা পুলিশের যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ নেই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রায়পুরে পান দোকানির কারাভোগ
গ্রেফতারের চার দিন পর জানা গেল পরোয়ানা ভুয়া!
রায়পুর উপজেলায় পান দোকানি আবদুল কাদের কালুকে বিনা দোষে চারদিনের কারাভোগ করতে হয়েছে। তবে কারাভোগের পর জানা গেছে-যে গ্রেফতারি পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা ছিল ভুয়া।
শুক্রবার রায়পুরের মিতালি বাজার থেকে কালুকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠায়। রায়পুর কাজিরচর গ্রামের নুরুর হকের ছেলে কালুকে গ্রেফতার করার সময় এএসআই আফজাল জানান, বরিশালের কোতোয়ালি থানার দুটি মাদক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি কালু। লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কালুকে সোপর্দ করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা জজ আদালতের আইজীবী শাকিল পাটোয়ারী জানান, কালুর পরিবার মামলা নম্বর নিয়ে এলে খোঁজখবর করি। বরিশাল আদালত ও কোতোয়ালি থানায় খবর নিই। ২০২১ সালের মামলা হওয়ায় থানা তেমন কিছু জানাতে পারেনি। আদালত থেকে বের করা নথি থেকে জানা যায়-গ্রেফতারি পরোয়ানায় কালুর নাম থাকলেও দুই মামলার কোথাও তার নাম নেই। একটি মামলার রায় হয়েছে। বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করা হলে কালুকে জামিন দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, এটি ভুয়া পরোয়ানা ছিল। এর সঙ্গে আদালতের দালালরা জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা এগুলো করে। আইনজীবীরাও জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ জানায়, ডাকে আসা পরোয়ানা নকল না আসল তা যাচাই করার কোনো পন্থা নেই। নথি অন্য জেলায় থাকলে তা খুঁজে বের করতে অনেক সময় লাগে। ততদিন গ্রেফতার ব্যক্তিকে কারাগারেই থাকতে হয়। এ ধরনের ভুয়া গ্রেফতারি পরোয়ানায় অসহায় মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে পুলিশ স্বীকার করেছে। কালুর বাবা নুরুর হক যুগান্তরকে বলেন, বিনা অপরাধে আমার ছেলে চারদিন জেল খেটেছে। এর বিচার চাই। রায়পুর থানার এসআই মো. এরফান যুগান্তরকে জানান, অন্য জেলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠিকানা অনুযায়ী থানায় আসে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে পুলিশ আসামি গ্রেফতার করে। গ্রেফতারি পরোয়ানাগুলো সব একই রকম। কোনটা আসল, কোনটা নকল তা পুলিশের যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ নেই।