‘নিত্যপণ্যের দাম আর বাড়বে না’
jugantor
এফবিসিসিআই’র সভায় চিনির দাম নিয়ে হট্টগোল
‘নিত্যপণ্যের দাম আর বাড়বে না’

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

এফবিসিসিআইয়ের লোগো

রমজান মাসে ভোজ্যতেল, ছোলা, ব্রয়লার মুরগি, ডিমের দাম আর বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে খোলা চিনির দাম নিয়ে বরাবরের মতোই হট্টগোলা বাধে, মিল মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির পেছনে একে অন্যকে দোষারোপ করেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর এফবিসিসিআই ভবনে নিত্যপণ্যের মজুত পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ীরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, রোজার মাসে বেশি পণ্য লাগার কথা নয়। অভ্যাসের কারণে অনেকে বেশি পণ্য কেনেন। পুরো মাসের বাজার প্রথম সপ্তাহেই করে ফেলেন। তখনই সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্ত হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর সুযোগ নেন। এ বিষয়ে ভোক্তাদের সতর্ক থাকা দরকার।

তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে উৎসব-পার্বণে জিনিসপত্রের দাম কমে। আর আমাদের দেশে উলটো সুযোগ নিতে চাই। রোজায় ভোক্তা-বিক্রেতা উভয়কেই সংযমী হতে পারে। ভোক্তারা প্রয়োজনের বেশি পণ্য কিনব না, বিক্রেতাদের অতি মুনাফা না করার মনমানসিকতা রাখতে হবে। এবার আমরা যেন বলতে পারি, কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। রাজধানীর মার্কেটগুলোকে ডিসকাউন্ট শপ চালু করা যায় কি না সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।’ স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, অন্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। অযৌক্তিক কারণে দাম বাড়ালে বা মজুত করলে বাজার কমিটির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

চিনির দাম নিয়ে হট্টগোল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ে চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, ‘জেলার ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভোজ্যতেল-চিনির রসিদ পাচ্ছে না। পাইকাররা বলছে তারা মিল মালিকদের কাছ থেকে রশিদ পান না।’ তিনি রোজার মাসে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার আহ্বান জানান।

এর জবাব দিতে পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাশেম কথা বলতে চান। তখন এফবিসিসিআই সভাপতি জানতে চান সংগঠনের সভাপতি কোথায়? আবুল হাশেম জানান, সভাপতির অনুমতি নিয়েই তিনি কথা বলতে চান। তখন এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আপনি শুধু ব্লেইম গেম খেলেন। আপনি কথা বলবেন না। সভাপতিকে কথা বলতে দিন।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে আবুল হাশেম কথা বলতে চাইলে তাকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন জসিম উদ্দিন।

ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে অসন্তোষ : সভায় ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন উপস্থিত সবাই। ভুট্টা সমিতির সহ-সভাপতি মিজানুল হক বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়া উচিত নয়। কারণ পোলট্রি ফিডের প্রধান কাঁচামাল ভুট্টার দাম কমতির দিকে। প্রায় একই কথা জানিয়ে বায়ো হেলথের প্রতিনিধি বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ওষুধের দাম বাড়লেও ফার্ম পর্যায়ে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা দরে।

এর প্রেক্ষিতে জসিম উদ্দিন বলেন, কোনো শিল্প যদি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, বিরুদ্ধে যায় তাহলে সবার আগে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা ভাবতে হবে। প্রয়োজনে ডিম, মুরগি ও মাংস আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে হবে। গরুর মাংসের বিষয়ে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ও ব্রাজিলে গরুর মাংসের দাম অনেক কম। দুবাই তে গরুর চাষাবাদ না হলেও সেখানে দাম ৫০০ টাকা কেজি। প্রয়োজনে মাংসও আমদানি করা যেতে পারে।

এফবিসিসিআই’র সভায় চিনির দাম নিয়ে হট্টগোল

‘নিত্যপণ্যের দাম আর বাড়বে না’

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ
এফবিসিসিআইয়ের লোগো
এফবিসিসিআইয়ের লোগো

রমজান মাসে ভোজ্যতেল, ছোলা, ব্রয়লার মুরগি, ডিমের দাম আর বাড়বে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে খোলা চিনির দাম নিয়ে বরাবরের মতোই হট্টগোলা বাধে, মিল মালিক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির পেছনে একে অন্যকে দোষারোপ করেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর এফবিসিসিআই ভবনে নিত্যপণ্যের মজুত পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় দাম না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ীরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন। এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, রোজার মাসে বেশি পণ্য লাগার কথা নয়। অভ্যাসের কারণে অনেকে বেশি পণ্য কেনেন। পুরো মাসের বাজার প্রথম সপ্তাহেই করে ফেলেন। তখনই সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্ত হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর সুযোগ নেন। এ বিষয়ে ভোক্তাদের সতর্ক থাকা দরকার।

তিনি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে উৎসব-পার্বণে জিনিসপত্রের দাম কমে। আর আমাদের দেশে উলটো সুযোগ নিতে চাই। রোজায় ভোক্তা-বিক্রেতা উভয়কেই সংযমী হতে পারে। ভোক্তারা প্রয়োজনের বেশি পণ্য কিনব না, বিক্রেতাদের অতি মুনাফা না করার মনমানসিকতা রাখতে হবে। এবার আমরা যেন বলতে পারি, কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। রাজধানীর মার্কেটগুলোকে ডিসকাউন্ট শপ চালু করা যায় কি না সেটি বিবেচনা করা হচ্ছে।’ স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, অন্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। অযৌক্তিক কারণে দাম বাড়ালে বা মজুত করলে বাজার কমিটির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

চিনির দাম নিয়ে হট্টগোল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ে চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, ‘জেলার ব্যবসায়ীরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভোজ্যতেল-চিনির রসিদ পাচ্ছে না। পাইকাররা বলছে তারা মিল মালিকদের কাছ থেকে রশিদ পান না।’ তিনি রোজার মাসে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখার আহ্বান জানান।

এর জবাব দিতে পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাশেম কথা বলতে চান। তখন এফবিসিসিআই সভাপতি জানতে চান সংগঠনের সভাপতি কোথায়? আবুল হাশেম জানান, সভাপতির অনুমতি নিয়েই তিনি কথা বলতে চান। তখন এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আপনি শুধু ব্লেইম গেম খেলেন। আপনি কথা বলবেন না। সভাপতিকে কথা বলতে দিন।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে আবুল হাশেম কথা বলতে চাইলে তাকে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন জসিম উদ্দিন।

ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে অসন্তোষ : সভায় ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন উপস্থিত সবাই। ভুট্টা সমিতির সহ-সভাপতি মিজানুল হক বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়া উচিত নয়। কারণ পোলট্রি ফিডের প্রধান কাঁচামাল ভুট্টার দাম কমতির দিকে। প্রায় একই কথা জানিয়ে বায়ো হেলথের প্রতিনিধি বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ওষুধের দাম বাড়লেও ফার্ম পর্যায়ে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা দরে।

এর প্রেক্ষিতে জসিম উদ্দিন বলেন, কোনো শিল্প যদি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, বিরুদ্ধে যায় তাহলে সবার আগে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা ভাবতে হবে। প্রয়োজনে ডিম, মুরগি ও মাংস আমদানি উন্মুক্ত করে দিতে হবে। গরুর মাংসের বিষয়ে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ও ব্রাজিলে গরুর মাংসের দাম অনেক কম। দুবাই তে গরুর চাষাবাদ না হলেও সেখানে দাম ৫০০ টাকা কেজি। প্রয়োজনে মাংসও আমদানি করা যেতে পারে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন