সোডা অ্যাশের কনটেইনারে মিলল বিপুল বিদেশি মদ
চট্টগ্রাম বন্দর
চট্টগ্রাম ব্যুরো
২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা একটি কনটেইনারে মিলেছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ। সোডা অ্যাশ ঘোষণায় আনা কনটেইনারটিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৬ হাজার ৮২৪ লিটার মদ পাওয়া গেছে। যার আমদানি মূল্য ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। চালানটির সঙ্গে ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব জড়িত। অর্থাৎ জব্দ মদ খালাস হয়ে গেলে সরকার ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব হারাত।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে কনটেইনার খুলে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
কাস্টম হাউজের এআইআর শাখার উপকমিশনার মো. সাইফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় কাস্টম হাউজ চালানটি আটক করে।
তিনি জানান, সোডা অ্যাশ ঘোষণায় আমদানি করা কনটেইনারটি খুলে ভেতরে ভোদকা, জনি ওয়াকার, ডাবল ব্ল্যাক, ব্ল্যাক লেভেল, চিভাস রিগ্যাল, ভ্যালেন্টাইনস স্কচ হুইস্কির বোতল পাওয়া যায়।
কাস্টম হাউজ সূত্র জানায়, ঢাকার বংশালের হাজী আবদুল্লাহ সরকার লেনের বিসমিল্লাহ করপোরেশনের নামে ৪০ ফুট লম্বা কনটেইনারটি দুবাই বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এতে ২৭ টন সোডা অ্যাশ লাইট থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আমদানিকারকের পক্ষ থেকে। কিন্তু এর ভেতরে মদ জাতীয় পণ্য আছে সন্দেহ হলে কাস্টম হাউজের এআইআর শাখা কনটেইনারটি কায়িক পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার ফোর্স কিপডাউন বা আটক করে। এরপর কনটেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় এতে বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এর আগে গত বছর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ৫ কনটেইনার মদ জব্দ করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ ও র্যাব।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চট্টগ্রাম বন্দর
সোডা অ্যাশের কনটেইনারে মিলল বিপুল বিদেশি মদ
চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা একটি কনটেইনারে মিলেছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ। সোডা অ্যাশ ঘোষণায় আনা কনটেইনারটিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৬ হাজার ৮২৪ লিটার মদ পাওয়া গেছে। যার আমদানি মূল্য ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। চালানটির সঙ্গে ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব জড়িত। অর্থাৎ জব্দ মদ খালাস হয়ে গেলে সরকার ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব হারাত।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে কনটেইনার খুলে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
কাস্টম হাউজের এআইআর শাখার উপকমিশনার মো. সাইফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় কাস্টম হাউজ চালানটি আটক করে।
তিনি জানান, সোডা অ্যাশ ঘোষণায় আমদানি করা কনটেইনারটি খুলে ভেতরে ভোদকা, জনি ওয়াকার, ডাবল ব্ল্যাক, ব্ল্যাক লেভেল, চিভাস রিগ্যাল, ভ্যালেন্টাইনস স্কচ হুইস্কির বোতল পাওয়া যায়।
কাস্টম হাউজ সূত্র জানায়, ঢাকার বংশালের হাজী আবদুল্লাহ সরকার লেনের বিসমিল্লাহ করপোরেশনের নামে ৪০ ফুট লম্বা কনটেইনারটি দুবাই বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এতে ২৭ টন সোডা অ্যাশ লাইট থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আমদানিকারকের পক্ষ থেকে। কিন্তু এর ভেতরে মদ জাতীয় পণ্য আছে সন্দেহ হলে কাস্টম হাউজের এআইআর শাখা কনটেইনারটি কায়িক পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার ফোর্স কিপডাউন বা আটক করে। এরপর কনটেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় এতে বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এর আগে গত বছর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ৫ কনটেইনার মদ জব্দ করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ ও র্যাব।