ওয়ারেন্ট ছাড়া কি আসামি গ্রেফতার করা যায় না?
jugantor
বিএনপি নেতাকর্মী প্রসঙ্গে আইজিপি
ওয়ারেন্ট ছাড়া কি আসামি গ্রেফতার করা যায় না?

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

২৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

সম্প্রতি বনানীতে একটি রেস্তোরাঁ থেকে বিএনপির ৫৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে তাদের ৫৩ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া হয়। বিএনপি দাবি করেছে, ঘরোয়া অনুষ্ঠানে খেতে গিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে তাদের পুলিশ আটক করেছে। বিনা ওয়ারেন্টে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা কতটা আইনসিদ্ধ, এ প্রশ্নে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী অবদুল্লাহ আল-মামুন পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া কি কাউকে গ্রেফতার করা যায় না? পুলিশ যা করেছে, আইন মেনেই করেছে।

পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং ইউনাইডেট ন্যাশন্স অফিস অন ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রজেক্ট ইনসেপশন হ্যান্ড ব্রিফিং মিটিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের পদ্মা হলে এই অনুষ্ঠান হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বনানীতে কি ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী কাজ করেছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আপনি এফআইআর দেখলে বুঝতে পারবেন যে কী ধরনের মামলা হয়েছে। এরপরও এটার বিষয়ে তদন্ত হবে। তদন্তের পর আমরা এটা দেখে ব্যবস্থা নেব। ‘বিএনপি দাবি করেছে বিরোধী দলকে সংক্ষুব্ধ করতে, বাধা দিতেই এভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে পুলিশপ্রধান বলেন, এমনটি নয়, মামলার কপি দেখলেই সব পরিষ্কার হবে। রাজধানীর বনানী ক্লাবে বৈঠক করার সময় ১৯ মার্চ রাত ১টার দিকে বিএনপির ৫৫ নেতাকর্মীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

চৌধুরী অবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা সফল হয়েছি। তবে আমরা আÍতুষ্টিতে ভুগছি না। আমরা চাই, বাংলাদেশে যেন আর কখনো জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে ক্রমান্বয়ে কাজ করছি।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় ইউএনওডিসি কাজ করতে আগ্রহী। বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মতো টুলসগুলো ব্যবহার করতে চায় ইউএনওডিসি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় পুলিশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আছে। আগামী দিনে যাতে এটা সাসটেইনেবল হয় বা থাকে, সেজন্য আমরা রুট লেভেলে কাজ করছি। সেখানে ইউএনওডিসি আমাদের সহযোগিতা করবে।

এটিইউ প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিল্লি নিকোলাস ও ইউএনওডিসির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি মার্কো টিজাইরা। এ সময় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতাকর্মী প্রসঙ্গে আইজিপি

ওয়ারেন্ট ছাড়া কি আসামি গ্রেফতার করা যায় না?

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২৬ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

সম্প্রতি বনানীতে একটি রেস্তোরাঁ থেকে বিএনপির ৫৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে তাদের ৫৩ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দেওয়া হয়। বিএনপি দাবি করেছে, ঘরোয়া অনুষ্ঠানে খেতে গিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে তাদের পুলিশ আটক করেছে। বিনা ওয়ারেন্টে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা কতটা আইনসিদ্ধ, এ প্রশ্নে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী অবদুল্লাহ আল-মামুন পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ওয়ারেন্ট ছাড়া কি কাউকে গ্রেফতার করা যায় না? পুলিশ যা করেছে, আইন মেনেই করেছে।

পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং ইউনাইডেট ন্যাশন্স অফিস অন ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রজেক্ট ইনসেপশন হ্যান্ড ব্রিফিং মিটিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের পদ্মা হলে এই অনুষ্ঠান হয়।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বনানীতে কি ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী কাজ করেছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, আপনি এফআইআর দেখলে বুঝতে পারবেন যে কী ধরনের মামলা হয়েছে। এরপরও এটার বিষয়ে তদন্ত হবে। তদন্তের পর আমরা এটা দেখে ব্যবস্থা নেব। ‘বিএনপি দাবি করেছে বিরোধী দলকে সংক্ষুব্ধ করতে, বাধা দিতেই এভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে পুলিশপ্রধান বলেন, এমনটি নয়, মামলার কপি দেখলেই সব পরিষ্কার হবে। রাজধানীর বনানী ক্লাবে বৈঠক করার সময় ১৯ মার্চ রাত ১টার দিকে বিএনপির ৫৫ নেতাকর্মীকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

চৌধুরী অবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা সফল হয়েছি। তবে আমরা আÍতুষ্টিতে ভুগছি না। আমরা চাই, বাংলাদেশে যেন আর কখনো জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে ক্রমান্বয়ে কাজ করছি।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে সহিংসতা, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় ইউএনওডিসি কাজ করতে আগ্রহী। বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মতো টুলসগুলো ব্যবহার করতে চায় ইউএনওডিসি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় পুলিশ সন্ত্রাসবাদ দমনে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ মুহূর্তে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আছে। আগামী দিনে যাতে এটা সাসটেইনেবল হয় বা থাকে, সেজন্য আমরা রুট লেভেলে কাজ করছি। সেখানে ইউএনওডিসি আমাদের সহযোগিতা করবে।

এটিইউ প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিল্লি নিকোলাস ও ইউএনওডিসির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিনিধি মার্কো টিজাইরা। এ সময় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন