গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না গণতন্ত্রের কথা বলে যারা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
jugantor
গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না গণতন্ত্রের কথা বলে যারা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

২৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা এ ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করায় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার ‘গণহত্যা দিবসের’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সংসদ-সদস্য শাজাহান খান, এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মফিদুল হক।

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী আমাদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের তারা শোষণ করেছে। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরও বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা তুলে না দিয়ে তারা অত্যাচারে লিপ্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব বড় দেশ গণতন্ত্রের কথা বলছে, তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। অস্ত্র দিয়ে তাদের সহায়তা করেছে। তাদের আপত্তির কারণেই পাকিস্তানের চালানো গণহত্যাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। এ স্বীকৃতি পেতে কূটনৈতিকভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, নানাভাবে চেষ্টা করেও পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমরা এ দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ছাড় দেওয়া হবে না। মূল বক্তা এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সময় বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যার বীজ বপন হয়। সীমানা ও ভৌগোলিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেই প্রভাব বাংলাদেশের মানুষের ওপর পড়ে। এর প্রেক্ষাপটেই এ দেশে গণহত্যা চালায় পাকিস্তান। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভৌগোলিক অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই ধর্মের কারণে অভিন্ন রাষ্ট্র হতে পারে না। এ দেশকে ভারতের প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টার নামে গণহত্যা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনারা।

গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না গণতন্ত্রের কথা বলে যারা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
২৬ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা এ ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করায় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার ‘গণহত্যা দিবসের’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সংসদ-সদস্য শাজাহান খান, এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মফিদুল হক।

মোজাম্মেল হক আরও বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী আমাদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের তারা শোষণ করেছে। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরও বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা তুলে না দিয়ে তারা অত্যাচারে লিপ্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব বড় দেশ গণতন্ত্রের কথা বলছে, তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। অস্ত্র দিয়ে তাদের সহায়তা করেছে। তাদের আপত্তির কারণেই পাকিস্তানের চালানো গণহত্যাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। এ স্বীকৃতি পেতে কূটনৈতিকভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, নানাভাবে চেষ্টা করেও পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমরা এ দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ছাড় দেওয়া হবে না। মূল বক্তা এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সময় বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যার বীজ বপন হয়। সীমানা ও ভৌগোলিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেই প্রভাব বাংলাদেশের মানুষের ওপর পড়ে। এর প্রেক্ষাপটেই এ দেশে গণহত্যা চালায় পাকিস্তান। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভৌগোলিক অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই ধর্মের কারণে অভিন্ন রাষ্ট্র হতে পারে না। এ দেশকে ভারতের প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টার নামে গণহত্যা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনারা।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন