চপ পেঁয়াজুসহ প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি
মিরপুরে ইফতার বাজার
হক ফারুক আহমেদ
২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে কোনো কিছুই আর আগের জায়গায় নেই। রাজধানীর মিরপুরের প্রসিদ্ধ প্রিন্স বাজারে এখন ইফতারের অতি সাধারণ খাবার পেঁয়াজু প্রতি পিস ১৫ টাকা আর আলুর চপ ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য খাবারের দামও এখানে বেশি। তাই খুব বেশি ক্রেতাও নেই।
মিরপুর-১ এর প্রিন্স ইফতার বাজারের চাইনিজ অংশে দইবড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, আচারি চিকেন টিক্কা ১৫০ টাকা, চিকেন তন্দুরি ১৫০ টাকা, চিকেন তন্দুরি আস্ত মুরগি ৫৫০ টাকা, রোস্ট ফুল ৫০০ টাকা, পাক্কি বিরিয়ানি ১৯০ টাকা প্লেট, চিকেন ললিপপ ৫০, শামি কাবাব ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এখানে তিনি ধরনের হালিম পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর দাম যথাক্রমে ৭৮০, ৪২০ ও ২২০ টাকা বাটি। এর পাশেই এই প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ইফতার বাজার। এখানে গুটি কাবাব ২৫ টাকা, চিকেন তন্দুরি ১২০ টাকা, ঝালফ্রাই ১০০ টাকা পিস, মাটন রোস্ট ৪৫০ টাকা পিস, চিকেন সাসলিক ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর হালিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০, ৩২০, ৪০০, ৫৫০ ও ৭০০ টাকা।
ইফতার কিনতে আসা সাদেকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, মিরপুরের বাসিন্দারা কম-বেশি প্রিন্সে সারা বছর কেনাকাটা করেন। আমিও করি। কিন্তু ইফতার বাজারে এবার খাবারের দাম এতই বেশি যে, অনেকে ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারছেন না। তারপরও ছুটির দিন হিসাবে কিছু ইফাতর পণ্য কিনেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাওয়ার জন্য।
প্রিন্সের পাশেই নিউ ক্যাপে ধানসিঁড়ি। এখানে বেগুনি প্রতি পিস ১৫ টাকা, চিকেন সমুসা ৪০ টাকা, দইবড়া ৪০ টাকা, বিফ জোরাগোস্ত ২০০ টাকা (ছোট বাটি), চিকেন খাটাখাট ১৮০ (ছোট বাটি) বিক্রি হচ্ছে। চিকেন সাসলিক ১২০ টাকা, চিকেন বারবিকিউ ১০০ টাকা, ফিশ কাটলেট ৫০ টাকা, বিফ জালি কাবাব ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টান্নের ক্ষেত্রে মিরপুরে মরণ চাঁদ গ্র্যান্ড অ্যান্ড সন্স প্রসিদ্ধ। এখানে গরম জিলাপি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায়।
আশিক শাহীন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ইফতারির দাম অত্যাধিক। আগে যে পণ্য ১০০ টাকায় কেনা যেত এখন সেটা কিনতে ২০০ টাকা লাগছে। আমি ১০০ টাকা দিয়ে ৩৫০ গ্রাম জিলাপি কিনেছি। আগে এই টাকায় ৫০০-৬০০ গ্রাম পেতাম। রোজার মাস এলে খাবারের দাম বাড়িয়ে দেয় মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা। মানুষ এদের হাত থেকে মুক্তি চায়।’
এছাড়া মিরপুর-২, ১০, ১১ সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই কেএফসি, পিৎজাহাট বা স্থানীয় ফুড চেইনশপগুলো থেকেও ইফতারি পণ্য কিনছেন। মিরপুরে নামিদামি অনেক বিরিয়ানি ব্র্যান্ডের রেস্তোরাঁও আছে। এসব রেস্তোরাঁ থেকেও মানুষ খাবার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মিরপুরে ইফতার বাজার
চপ পেঁয়াজুসহ প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে কোনো কিছুই আর আগের জায়গায় নেই। রাজধানীর মিরপুরের প্রসিদ্ধ প্রিন্স বাজারে এখন ইফতারের অতি সাধারণ খাবার পেঁয়াজু প্রতি পিস ১৫ টাকা আর আলুর চপ ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য খাবারের দামও এখানে বেশি। তাই খুব বেশি ক্রেতাও নেই।
মিরপুর-১ এর প্রিন্স ইফতার বাজারের চাইনিজ অংশে দইবড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, আচারি চিকেন টিক্কা ১৫০ টাকা, চিকেন তন্দুরি ১৫০ টাকা, চিকেন তন্দুরি আস্ত মুরগি ৫৫০ টাকা, রোস্ট ফুল ৫০০ টাকা, পাক্কি বিরিয়ানি ১৯০ টাকা প্লেট, চিকেন ললিপপ ৫০, শামি কাবাব ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এখানে তিনি ধরনের হালিম পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর দাম যথাক্রমে ৭৮০, ৪২০ ও ২২০ টাকা বাটি। এর পাশেই এই প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ইফতার বাজার। এখানে গুটি কাবাব ২৫ টাকা, চিকেন তন্দুরি ১২০ টাকা, ঝালফ্রাই ১০০ টাকা পিস, মাটন রোস্ট ৪৫০ টাকা পিস, চিকেন সাসলিক ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর হালিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০, ৩২০, ৪০০, ৫৫০ ও ৭০০ টাকা।
ইফতার কিনতে আসা সাদেকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, মিরপুরের বাসিন্দারা কম-বেশি প্রিন্সে সারা বছর কেনাকাটা করেন। আমিও করি। কিন্তু ইফতার বাজারে এবার খাবারের দাম এতই বেশি যে, অনেকে ইচ্ছা থাকলেও কিনতে পারছেন না। তারপরও ছুটির দিন হিসাবে কিছু ইফাতর পণ্য কিনেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে খাওয়ার জন্য।
প্রিন্সের পাশেই নিউ ক্যাপে ধানসিঁড়ি। এখানে বেগুনি প্রতি পিস ১৫ টাকা, চিকেন সমুসা ৪০ টাকা, দইবড়া ৪০ টাকা, বিফ জোরাগোস্ত ২০০ টাকা (ছোট বাটি), চিকেন খাটাখাট ১৮০ (ছোট বাটি) বিক্রি হচ্ছে। চিকেন সাসলিক ১২০ টাকা, চিকেন বারবিকিউ ১০০ টাকা, ফিশ কাটলেট ৫০ টাকা, বিফ জালি কাবাব ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টান্নের ক্ষেত্রে মিরপুরে মরণ চাঁদ গ্র্যান্ড অ্যান্ড সন্স প্রসিদ্ধ। এখানে গরম জিলাপি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩০০ টাকায়।
আশিক শাহীন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ইফতারির দাম অত্যাধিক। আগে যে পণ্য ১০০ টাকায় কেনা যেত এখন সেটা কিনতে ২০০ টাকা লাগছে। আমি ১০০ টাকা দিয়ে ৩৫০ গ্রাম জিলাপি কিনেছি। আগে এই টাকায় ৫০০-৬০০ গ্রাম পেতাম। রোজার মাস এলে খাবারের দাম বাড়িয়ে দেয় মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা। মানুষ এদের হাত থেকে মুক্তি চায়।’
এছাড়া মিরপুর-২, ১০, ১১ সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই কেএফসি, পিৎজাহাট বা স্থানীয় ফুড চেইনশপগুলো থেকেও ইফতারি পণ্য কিনছেন। মিরপুরে নামিদামি অনেক বিরিয়ানি ব্র্যান্ডের রেস্তোরাঁও আছে। এসব রেস্তোরাঁ থেকেও মানুষ খাবার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।