দুর্গাপুরে বিএনপির অনুষ্ঠান পণ্ড, ৭ নেতাকর্মী আটক
jugantor
পুলিশের বাধা, গুলি
দুর্গাপুরে বিএনপির অনুষ্ঠান পণ্ড, ৭ নেতাকর্মী আটক

  নেত্রকোনা ও দুর্গাপুর প্রতিনিধি  

২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

পুলিশি বাধায় দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং বিএনপির সাতজনকে আটক করে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের কাছারি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ব্যানারসহ মিছিল করে শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক করে। আটকরা হলেন-উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন আবু চাঁন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক ও গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মইনুল হাসান, আরমান হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম।

দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলম ভূঁইয়া জানান, সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাছারি মোড় থেকে ব্যানার নিয়ে শহিদবেদিতে ফুল দিতে চাইলে পুলিশ ব্যানার নিতে বাধা দেয়। সেখান থেকে চলে আসার সময় পুলিশ ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। অল্পক্ষণের মধ্যে পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়। ধাওয়া দেয় ও গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী শিশির আহত হয়।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী যুগান্তরকে মোবাইল ফোনে বলেন, দলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে শহিদ মিনারের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং গুলি ছুড়ে ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে। তারা আরও বলেন, বিএনপিকে দমন করতে সরকার এখন পুলিশকে ব্যবহার করছে। কিন্তু এভাবে বিএনপিকে দমন করা যাবে না। শহিদ মিনারে যাওয়ার পথে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আটকদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপিকে পুলিশ বাধা দেয়নি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং বিএনপির কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়ে সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে। এতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর তারা ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হবে।

পুলিশের বাধা, গুলি

দুর্গাপুরে বিএনপির অনুষ্ঠান পণ্ড, ৭ নেতাকর্মী আটক

 নেত্রকোনা ও দুর্গাপুর প্রতিনিধি 
২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

পুলিশি বাধায় দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং বিএনপির সাতজনকে আটক করে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের কাছারি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ব্যানারসহ মিছিল করে শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক করে। আটকরা হলেন-উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইমাম হোসেন আবু চাঁন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতাউর রহমান, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক ও গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মইনুল হাসান, আরমান হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম।

দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলম ভূঁইয়া জানান, সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাছারি মোড় থেকে ব্যানার নিয়ে শহিদবেদিতে ফুল দিতে চাইলে পুলিশ ব্যানার নিতে বাধা দেয়। সেখান থেকে চলে আসার সময় পুলিশ ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। অল্পক্ষণের মধ্যে পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়। ধাওয়া দেয় ও গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মী শিশির আহত হয়।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী যুগান্তরকে মোবাইল ফোনে বলেন, দলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে শহিদ মিনারের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং গুলি ছুড়ে ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবসে পুলিশ বেআইনি কাজ করেছে। তারা আরও বলেন, বিএনপিকে দমন করতে সরকার এখন পুলিশকে ব্যবহার করছে। কিন্তু এভাবে বিএনপিকে দমন করা যাবে না। শহিদ মিনারে যাওয়ার পথে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আটকদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপিকে পুলিশ বাধা দেয়নি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং বিএনপির কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়ে সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে। এতে বাধা দিলে পুলিশের ওপর তারা ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আর পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হবে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন