মধুখালীতে শ্রেণিকক্ষে বাবা ছেলেকে মারধর

ভিডিও ভাইরাল
 ফরিদপুর ব্যুরো 
২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বাবা-ছেলেকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে স্থানীয়রা নির্যাতনকারীদের বিচার দাবি করেছেন। পুলিশ কুতুব উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে।

ভুক্তভোগী বাবা-ছেলে হলেন-মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর গ্রামের ইয়ামিন মৃধা ও তার ছেলে রাজন মৃধা। তারা মাঝকান্দী গ্রামের সালাম শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ১৭ মার্চ উপজেলার আড়ুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে তালা দিয়ে তাদের মারধর করা হয়।

মারধরের শিকার ইয়ামিন মৃধা বলেন, স্কুলশিক্ষক ইসরাত জাহান লিপির কোনো সন্তান নেই। তিনি আমার মেয়েকে লোভ-লালসা দিয়ে তার কাছে নিয়ে রাখতে চান। এর আগেও তিনি আমার মেয়েকে আমাদের না জানিয়ে তার বাসায় নিয়ে গেছেন। পরে খুঁজে তার বাসায় পেয়েছি। ১৭ মার্চ আমাকে ও আমার ছেলেকে স্কুলে ডেকে নিয়ে মেয়েকে নিয়ে যেতে প্রথমে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্ট্যাম্পে লিখিত দিতে বলেন। রাজি না হলে মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের মারধর করেন।

তবে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসরাত জাহান লিপি বলেন, ওই ছাত্রী আমাদের স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার মা নেই। বাবা ও ভাই জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। কয়েক মাস আগে সে শিক্ষকদের জানায়, তার বাবা ও ভাই তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে সে আমার সঙ্গে ফরিদপুরের বাসায় চলে আসে। এরপর তাকে বুঝিয়ে তার বাবা-ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেই। নির্যাতনের ভয়ে ১৪ মার্চ আবারও সে আমার বাসায় চলে আসে। ১৭ মার্চ তার বাবা-ভাইকে স্কুলে ডেকে আনা হয় বিষয়টি জানার জন্য। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে তারাও সেখানে আসেন। মেয়েটি সবার সামনে তার সঙ্গে খারাপ আচরণের বিষয়টি বলে। পরে স্কুলের একটি রুমের মধ্যে বহিরাগতরা তাদের মারধর করে। তাদের কাউকে আমি চিনি না।

আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবিরুজ্জামান বলেন, মারামারির সঙ্গে আমাদের শিক্ষকরা কেউ জড়িত নন। স্থানীয় কিছু লোকজন শ্রেণিকক্ষে তাদের মারধর করেছে। আমরা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী ইয়ামিন মৃধা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় কুতুবউদ্দিন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন