রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ
jugantor
রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ
নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

  যুগান্তর ডেস্ক  

২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতের লোকসভার সংসদ সদস্য পদ খারিজের পর এবার রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে হাউজিং কমিটি। সোমবার কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ দিয়েছে লোকসভার হাউজিং কমিটি। এদিকে রাহুল গান্ধীর সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এনডিটিভি, আনন্দবাজার, সংবাদ প্রতিদিন।

রাহুল গান্ধীকে সোমবার সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিশ দিয়েছে লোকসভার হাউজিং কমিটি। ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সদস্য ছিলেন রাহুল। সেই সূত্রে দিল্লিতে ১২ তুঘলক রোডে রাহুলের জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২৩ মার্চ রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এরপর সোমবার তাকে সেই বাংলো খালি করতে নোটিশ দেওয়া হয়। আগামী ১ মাসের মধ্যে সরকারি বাংলো রাহুলকে ছাড়তে হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের এ আদেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে রাহুল গান্ধী বাড়ি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। বাংলো ছাড়ার নোটিশ পাওয়ার পর তিনি নিজেই একথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বাংলো ছাড়ার নোটিশ দেওয়ার জন্য লোকসভার সচিবালয়কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। লোকসভার হাউজিং কমিটির পাঠানো নোটিশ পাওয়ার পর কমিটিকে পাঠানো এক চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, ‘জনগণের ইচ্ছায় গত চারবারের সাংসদ হওয়ার সুবাদে আমি এখানে ভালো সময় কাটিয়েছি। এখানে আমার সুখের স্মৃতিও তৈরি হয়েছে। নিজের অধিকারের প্রতি পক্ষপাত না করে আমি চিঠিতে থাকা নির্দেশ মেনে নেব।’

এদিকে রাহুল গান্ধীকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ, মানহানি মামলায় সাজা এবং লোকসভায় তার সাংসদ পদ খারিজের ঘটনার দিকে আমেরিকা নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অন্যতম মুখপাত্র বেদান্ত পটেল। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত পটেল মঙ্গলবার বলেছেন, ভারতের আদালতে রাহুল গান্ধীর মামলাটি আমাদের নজরে রয়েছে। দুশেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় দায়বদ্ধ। ভারতের ক্ষেত্রে আমরা গণতন্ত্রের গুরুত্ব, মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি জোর দিচ্ছি। দুদেশই গণতন্ত্র রক্ষায় যা জরুরি। রাহুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আলাদা ভাবে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা আমরা ভাবছি না। আমরা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যে কোনো দেশের সরকার-বিরোধী দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলে থাকি। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।’ ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছেন গুজরাটের সুরত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ

নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
 যুগান্তর ডেস্ক 
২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতের লোকসভার সংসদ সদস্য পদ খারিজের পর এবার রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে হাউজিং কমিটি। সোমবার কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ দিয়েছে লোকসভার হাউজিং কমিটি। এদিকে রাহুল গান্ধীর সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এনডিটিভি, আনন্দবাজার, সংবাদ প্রতিদিন।

রাহুল গান্ধীকে সোমবার সরকারি বাংলো ছাড়তে নোটিশ দিয়েছে লোকসভার হাউজিং কমিটি। ২০০৪ সাল থেকে লোকসভার সদস্য ছিলেন রাহুল। সেই সূত্রে দিল্লিতে ১২ তুঘলক রোডে রাহুলের জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২৩ মার্চ রাহুলের সংসদ সদস্য পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এরপর সোমবার তাকে সেই বাংলো খালি করতে নোটিশ দেওয়া হয়। আগামী ১ মাসের মধ্যে সরকারি বাংলো রাহুলকে ছাড়তে হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের এ আদেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে রাহুল গান্ধী বাড়ি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। বাংলো ছাড়ার নোটিশ পাওয়ার পর তিনি নিজেই একথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বাংলো ছাড়ার নোটিশ দেওয়ার জন্য লোকসভার সচিবালয়কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। লোকসভার হাউজিং কমিটির পাঠানো নোটিশ পাওয়ার পর কমিটিকে পাঠানো এক চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, ‘জনগণের ইচ্ছায় গত চারবারের সাংসদ হওয়ার সুবাদে আমি এখানে ভালো সময় কাটিয়েছি। এখানে আমার সুখের স্মৃতিও তৈরি হয়েছে। নিজের অধিকারের প্রতি পক্ষপাত না করে আমি চিঠিতে থাকা নির্দেশ মেনে নেব।’

এদিকে রাহুল গান্ধীকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ, মানহানি মামলায় সাজা এবং লোকসভায় তার সাংসদ পদ খারিজের ঘটনার দিকে আমেরিকা নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অন্যতম মুখপাত্র বেদান্ত পটেল। আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত পটেল মঙ্গলবার বলেছেন, ভারতের আদালতে রাহুল গান্ধীর মামলাটি আমাদের নজরে রয়েছে। দুশেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বিশেষত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় দায়বদ্ধ। ভারতের ক্ষেত্রে আমরা গণতন্ত্রের গুরুত্ব, মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি জোর দিচ্ছি। দুদেশই গণতন্ত্র রক্ষায় যা জরুরি। রাহুলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আলাদা ভাবে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা আমরা ভাবছি না। আমরা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে যে কোনো দেশের সরকার-বিরোধী দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলে থাকি। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।’ ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছেন গুজরাটের সুরত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন