যশোরে উত্ত্যক্তের শিকার স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
jugantor
যশোরে উত্ত্যক্তের শিকার স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

  যশোর ব্যুরো  

২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

যশোর

যশোরের ঝিকরগাছায় বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার অনি রায় (১৩) নামে স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার স্কুলের কোচিং থেকে ফিরে সে গলায় ফাঁস দেয়। অনি রায় ঝিকরগাছা পৌর সদরের মিস্ত্রিপাড়ার প্রবাসী গৌতম রায়ের মেয়ে এবং ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পরিবারের দাবি, ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে অনি রায় (১৩) আত্মহত্যা করেছে। অনির ভাই অর্ঘ্য রায় জানান, প্রতিদিনের মতো তার বোন স্কুলে কোচিংয়ের জন্য গিয়েছিল। কোচিং থেকে ফিরে কাউকে কিছু না বলেই নিজের ঘরে গলায় শাড়ি প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। অর্ঘ্য দাবি করেন, ‘অনি স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছু বখাটে তাকে উত্ত্যক্ত করত। স্কুল থেকে ফেরার পথে কয়েকজন তার পিছু নিয়েছিল।’

এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর অর্ঘ্যরে সঙ্গে তিন যুবকের ঝগড়া বাধে। তার দাবি, ওই তিন যুবকই অনি রায়কে উত্ত্যক্ত করত। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতাল রোড এলাকার জামাল ফার্মেসির মালিকের ছেলে সাকিব। ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ জানান, ‘অনি রায় স্কুলে কোচিং করতে এসেছিল। স্কুল থেকে সে স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে। এরপর বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে।

তবে তাকে উত্ত্যক্তের যে অভিযোগ এসেছে এবং সন্দেহভাজন যে নামগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ঝিকরগাছা থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এএসআই রুমা রায় জানান, মঙ্গলবার অনি রায়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। নিহতের ভাই একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।

যশোরে উত্ত্যক্তের শিকার স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

 যশোর ব্যুরো 
২৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ
যশোর
প্রতীকী ছবি

যশোরের ঝিকরগাছায় বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার অনি রায় (১৩) নামে স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার স্কুলের কোচিং থেকে ফিরে সে গলায় ফাঁস দেয়। অনি রায় ঝিকরগাছা পৌর সদরের মিস্ত্রিপাড়ার প্রবাসী গৌতম রায়ের মেয়ে এবং ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পরিবারের দাবি, ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে অনি রায় (১৩) আত্মহত্যা করেছে। অনির ভাই অর্ঘ্য রায় জানান, প্রতিদিনের মতো তার বোন স্কুলে কোচিংয়ের জন্য গিয়েছিল। কোচিং থেকে ফিরে কাউকে কিছু না বলেই নিজের ঘরে গলায় শাড়ি প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। অর্ঘ্য দাবি করেন, ‘অনি স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছু বখাটে তাকে উত্ত্যক্ত করত। স্কুল থেকে ফেরার পথে কয়েকজন তার পিছু নিয়েছিল।’

এদিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর অর্ঘ্যরে সঙ্গে তিন যুবকের ঝগড়া বাধে। তার দাবি, ওই তিন যুবকই অনি রায়কে উত্ত্যক্ত করত। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতাল রোড এলাকার জামাল ফার্মেসির মালিকের ছেলে সাকিব। ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ জানান, ‘অনি রায় স্কুলে কোচিং করতে এসেছিল। স্কুল থেকে সে স্বাভাবিকভাবে বের হয়েছে। এরপর বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে।

তবে তাকে উত্ত্যক্তের যে অভিযোগ এসেছে এবং সন্দেহভাজন যে নামগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ঝিকরগাছা থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এএসআই রুমা রায় জানান, মঙ্গলবার অনি রায়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। নিহতের ভাই একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন