বরিশাল সিটি নির্বাচন

বিএনপি থেকে রুপনসহ ১৯ জনকে বহিষ্কার

 বরিশাল ব্যুরো 
০৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপি থেকে রুপনসহ ১৯ জনকে বহিষ্কার
কামরুল আহসান রুপন। ফাইল ছবি

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনসহ ১৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি। রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে বরিশাল নগরীকে উৎপাদনমুখী মেগা সিটিতে পরিণত করা, শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণসহ নগরবাসীর স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা রুপনকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২ জুন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া কাউন্সিলর পদের প্রার্থী বিএনপির ১৮ নেতাকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্র বিএনপি। জবাব সন্তোষজনক না হওয়া এবং জবাব না দেওয়ায় তাদের মীরজাফর আখ্যা দিয়ে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজীবন বহিষ্কৃত কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন-মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু (৬নং ওয়ার্ড), হারুন অর রশিদ (৯নং) ও শাহ আমিনুল ইসলাম আমিন (১৯নং), মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম হাওলাদার (৯নং), জাহানারা বেগম (সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ড), সেলিনা বেগম (৮ নং) ও রাশিদা পারভীন (১০নং), ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আবদুল্লাহ সাদি, একই ওয়ার্ডের প্রার্থী বরিশাল জেলা তাঁতি দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সভাপতি হাবিবুর রহমান ফারুক, ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ হুমায়ন কবির লিংকু, ১৫নং ওয়ার্ডে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ২২নং ওয়ার্ড মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জেসমিন সামাদ, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগরের সাবেক সহসভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফরিদউদ্দিন হাওলাদার এবং ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির।

আজীবন বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন বলেন, আমি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যও নই। আমাকে কীভাবে আজীবন বহিষ্কার করা হলো। আমি প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনি মাঠে থাকব ও নির্বাচন করব।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল ক্লাবের অমৃত লাল দে মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস ৩০টি নির্দিষ্ট খাতে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহারে মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলসহ পর্যটন এবং শিশু ও নারীবান্ধব নগরী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাপস বলেন, আমি নির্বাচিত হলে বরিশাল শহরকে উৎপাদনমুখী করার লক্ষ্যে সবার আগে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করব। সবার আগে মা ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতাল এবং আইটি সিটি নির্মাণের উদ্যোগ নেব।

লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী তাপস আরও বলেন, এখনও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী একটু সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন। এর মানে-এই নয়, নিয়ম ভেঙে রাস্তাঘাট দখল করে নির্বাচনি কার্যালয় স্থাপন করবেন। নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের ৪ থানা এলাকায় চারটি অফিস বসানোর কথা বলেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি কার্যালয়ের অভাব নেই। আবার তাদের লোকজন শহরে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিত সৃষ্টি করছে। প্রশাসনও সবার সঙ্গে সমান আচরণ করছে না। আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন