অর্থ পাচারে প্রভাবশালীরা জড়িত কিনা প্রশ্নে নিশ্চুপ পিকে হালদার
কলকাতার আদালতে আবারও পেছাল বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে মামলার শুনানি। আগামী ৪ জুলাই শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে অর্থ পাচার কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ বা ভারতের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বুধবার স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩’র বিচারক শুভেন্দু সাহার আদালতে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না একটি অ্যাডজর্নমেন্ট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনে মামলার শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়।
এর আগে পুলিশের গাড়ি থেকে নামার সময় সাংবাদিকরা পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসা করেন, এই অর্থ পাচার কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ বা ভারতের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা? তবে কোনো উত্তর না দিয়ে ব্যাংকশাল আদালতের লকআপে প্রবেশ করেন পিকে হালদার।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের গ্রিনটেক সিটি থেকে পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারকে গ্রেফতার করে। এছাড়া রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন পিকে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার। ওই বছরের ২১ মে অর্থ পাচারসংক্রান্ত আইন-২০০২ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বাংলাদেশেও পিকে হালদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এসবের বিচারকাজও শুরু হয়েছে।
ঢাকায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা ১৪ জুন : আদালত প্রতিবেদক জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করতে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনকে জেরার জন্য আগামী ১৪ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারি, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। বাকি পলাতক আসামিরা হলেন-পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এ মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন।
অর্থ পাচারে প্রভাবশালীরা জড়িত কিনা প্রশ্নে নিশ্চুপ পিকে হালদার
যুগান্তর ডেস্ক
০৮ জুন ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কলকাতার আদালতে আবারও পেছাল বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে মামলার শুনানি। আগামী ৪ জুলাই শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে অর্থ পাচার কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ বা ভারতের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বুধবার স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩’র বিচারক শুভেন্দু সাহার আদালতে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না একটি অ্যাডজর্নমেন্ট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনে মামলার শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়।
এর আগে পুলিশের গাড়ি থেকে নামার সময় সাংবাদিকরা পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসা করেন, এই অর্থ পাচার কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ বা ভারতের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কিনা? তবে কোনো উত্তর না দিয়ে ব্যাংকশাল আদালতের লকআপে প্রবেশ করেন পিকে হালদার।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের গ্রিনটেক সিটি থেকে পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারকে গ্রেফতার করে। এছাড়া রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন পিকে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার। ওই বছরের ২১ মে অর্থ পাচারসংক্রান্ত আইন-২০০২ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বাংলাদেশেও পিকে হালদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এসবের বিচারকাজও শুরু হয়েছে।
ঢাকায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা ১৪ জুন : আদালত প্রতিবেদক জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করতে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনকে জেরার জন্য আগামী ১৪ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারি, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। বাকি পলাতক আসামিরা হলেন-পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এ মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023