স্ত্রীকে হত্যার আগে শ্বশুরকে ফোন
তোর মেয়েকে নিয়ে যা, না হলে মেরে ফেলব
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালীর সেনবাগে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে স্বামী মহিন উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বৃস্পতিবার সকালে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে মহিম উদ্দিন পলাতক রয়েছে। নিহত তানজিনা আক্তারের (২০) পরিবারের দাবি মহিন তাকে (তানজিনা) মারধর করে হত্যা করেছে।
জানা যায়, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে নাঙ্গলকোট থানার দৌলখান ইউনিয়নের সন্ধ্যাইল গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে তানজিনার সঙ্গে প্রবাসী মহিন উদ্দিনের বিয়ে হয়। কিছুদিন পরই যৌতুক নিয়ে তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তানজিনাকে যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। বুধবার দুপুর ৩টার দিকে তানজিনার স্বামী মহিন উদ্দিন তার শ্বশুরকে (তাজুল ইসলাম) মুঠোফোনে বলে, ‘তুই কি তোর মেয়েকে নিবি, না নিলে মেরে ফেলব (এই কলরেকর্ড রয়েছে সাংবাদিকদের কাছে)।’
এরপর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহিনের পরিবারের সদস্যরা আবার তাজুল ইসলামকে ফোন করে জানায়, তানজিনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ খবর পেয়ে তিনি বাড়ির লোকজন নিয়ে হাসপাতাল গিয়ে দেখেন তানজিনা সেখানে নেই। এরপর তিনি জামাই বাড়িতে গিয়ে দেখেন একটি ঘরে মেয়ের লাশ রাখা আছে। ওই বাড়ির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, স্বামী তাকে মারধর করে মেরে ফেলেছে।
সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রুহুল আমিন জানান, প্রাথমিকভাবে মারধর করে মেরে ফেলার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা শুনতে পেয়েছি স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়েছে। তিনি বলেন, পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।