কাউন্সিলে আংশিক কমিটি
তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বে শমসের ও তৈমুর
তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু হলো শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের। যোগ দিয়েই দলটির প্রধান দুটি পদে জায়গা করে নিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির প্রথম কাউন্সিলে শমসের মবিন চৌধুরী চেয়ারপারসন ও অ্যাডভোকেট ড. তৈমুর আলম খন্দকার মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুই নেতাই এক সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শমসের মবিন স্বেচ্ছায় দল ছেড়ে বিকল্প ধারায় যোগ দেন। আর তৈমুর বহিষ্কার হন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও কূটনীতিক শমসের বিকল্পধারায় যোগ দেওয়ার আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। দলটির কূটনৈতিক উইংয়ের দায়িত্বও সামাল দিতেন তিনি। আর নারারণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচন করায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার হন তৈমুর। ওই সময় তিনি দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে ছিলেন। দলছুট ও বহিষ্কার হওয়ার পর দীর্ঘদিন এই দুই নেতার রাজনৈতিক তৎপরতা চোখে পড়েনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারা সক্রিয় হয়েছেন। যোগ দিলেন বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপিতে।
কাউন্সিল ও কর্মী সমাবেশের দ্বিতীয় পর্বে আংশিক কমিটি ঘোষণা দেন কাউন্সিলের সঞ্চালক ও দলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. আক্কাস আলী খান। নাজমুল হুদার মেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা সেলিমা হুদা নতুন কমিটিতে এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মো. আক্কাস আলী খান। দলটির ভাইস চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন-কেএ জাহাঙ্গীর মাজমাদার, মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, মোখলেসুর রহমান ফরহাদী, দীপক কুমার পালিত, মেনোয়াল সরকার ও ছালাম মাহমুদ। যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন-অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ফয়েজ চৌধুরী, তালুকদার জহিরুল হক, রোখসানা আমিন সুরমা। কোষাধ্যক্ষ (ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদা) নির্বাচিত হয়েছেন শামীম আহসান। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন শাহজাহান সিরাজ (বরিশাল), আকবর খান (চট্টগ্রাম)। এছাড়া সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল মোড়ল, দপ্তর সম্পাদক হিসাবে একে সাইদুর রহমান ও মো. রাজু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কাজী ইব্রাহীম খলিল সবুজ, যুব বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে শাহাবউদ্দিন ইকবাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে অ্যাডভোকেট আশানুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি নাজমুস সাকিব, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে সাগর ঘোষ এবং স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে ফরহাদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা।
এ সময় শমসের মবিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, তরিকত ফেডারেশন সাবেক মহাসচিব (বহিষ্কৃত) এমএ আউয়াল, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, প্রগতিশীল ন্যাপের আহ্বায়ক পরশ ভাসানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাউন্সিলে শমসের ও তৈমুরকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকারের সময় মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কেয়ারটেকার সরকারের রূপরেখা দিয়েছিলেন এবং মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন নাজমুল হুদা। তার রূপরেখাকে যদি সম্মান করা হতো, তবে আজকের দিনে এসে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। তিনি বলেন, সব সরকারেরই ক্ষমতা ছাড়তে কষ্ট হয়। ক্ষমতায় থেকে একজন মিনিস্টার হয়েও জনগণের কাছে এমন ফর্মুলা দিয়ে দেশপ্রেম ও বড় মনের পরিচয় দিয়েছিলেন নাজমুল হুদা। তা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। কেয়ারটেকার সরকারের জন্য বিএনপি কত আন্দোলন করছে।
অথচ সেই সময় বিএনপিই ক্ষমতায় ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপি ১৬ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন পায়। এর ৩ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি আমার বাবা তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ইন্তেকাল করেন। এর কিছুদিন পর আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করি। এমন পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব নেওয়া আমার জন্য কষ্টকর ছিল। দলের একজন কর্মী হিসাবে আমি গর্ববোধ করি। আমার বাবা ছিলেন জননেতা, জনগণের কাছের মানুষ, অত্যন্ত কর্মীবান্ধব। তিনি বারবার সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা উঠে এলে নিজেকে সান্ত্বনা দিই। বর্তমানে অনেক বিষয়ই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর অন্যতম দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঘুস, দুর্নীতি, অনিয়ম চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা দেখব, তারা কী করে এবং পরে তৃণমূল বিএনপির পদক্ষেপ জানানো হবে।’
কেন এই দলে যোগ দিলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমার দল (বিএনপি) তো আমাকে বহিষ্কার করেছে। এরপর আমি দেড় বছর অপেক্ষা করেছি, একটা শোকজ নোটিশের জন্য। কেন বহিষ্কার করেছে আমাকে জানান। সেটার জবাব আমি দেব, আর আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসী সেটা জানতে পারবে। কিন্তু সেই সুযোগ আমাকে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগে যে রাজনীতি করতাম সেই দলের সঙ্গে এই নামের (তৃণমূল বিএনপি) ও আদর্শের মিল আছে এবং নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকারী সদস্য ছিলেন তিনিও এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। এ জন্য এই দলে যোগ দিয়েছি। এই দলের প্রতিটি সদস্য তৃণমূলের অথরিটি। কেউ কারও ওপরে খবরদারি করতে পারবে না।’
তবে এ কাউন্সিল নিয়ে উপস্থিত অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। এক নেতা জানান, বলা হয়েছিল চমক আছে। বিএনপির একঝাঁক সাবেক নেতা যোগ দেবেন। কিন্তু বিএনপির সাবেক দুই নেতা ছাড়া পরিচিত আর কাউকে দেখা যায়নি।
তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বে শমসের ও তৈমুর
কাউন্সিলে আংশিক কমিটি
যুগান্তর প্রতিবেদন
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু হলো শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের। যোগ দিয়েই দলটির প্রধান দুটি পদে জায়গা করে নিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির প্রথম কাউন্সিলে শমসের মবিন চৌধুরী চেয়ারপারসন ও অ্যাডভোকেট ড. তৈমুর আলম খন্দকার মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। এ দুই নেতাই এক সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শমসের মবিন স্বেচ্ছায় দল ছেড়ে বিকল্প ধারায় যোগ দেন। আর তৈমুর বহিষ্কার হন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও কূটনীতিক শমসের বিকল্পধারায় যোগ দেওয়ার আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। দলটির কূটনৈতিক উইংয়ের দায়িত্বও সামাল দিতেন তিনি। আর নারারণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচন করায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার হন তৈমুর। ওই সময় তিনি দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে ছিলেন। দলছুট ও বহিষ্কার হওয়ার পর দীর্ঘদিন এই দুই নেতার রাজনৈতিক তৎপরতা চোখে পড়েনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তারা সক্রিয় হয়েছেন। যোগ দিলেন বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপিতে।
কাউন্সিল ও কর্মী সমাবেশের দ্বিতীয় পর্বে আংশিক কমিটি ঘোষণা দেন কাউন্সিলের সঞ্চালক ও দলের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. আক্কাস আলী খান। নাজমুল হুদার মেয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা সেলিমা হুদা নতুন কমিটিতে এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মো. আক্কাস আলী খান। দলটির ভাইস চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন-কেএ জাহাঙ্গীর মাজমাদার, মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান, মোখলেসুর রহমান ফরহাদী, দীপক কুমার পালিত, মেনোয়াল সরকার ও ছালাম মাহমুদ। যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন-অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান, ফয়েজ চৌধুরী, তালুকদার জহিরুল হক, রোখসানা আমিন সুরমা। কোষাধ্যক্ষ (ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদা) নির্বাচিত হয়েছেন শামীম আহসান। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন শাহজাহান সিরাজ (বরিশাল), আকবর খান (চট্টগ্রাম)। এছাড়া সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল মোড়ল, দপ্তর সম্পাদক হিসাবে একে সাইদুর রহমান ও মো. রাজু মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কাজী ইব্রাহীম খলিল সবুজ, যুব বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে শাহাবউদ্দিন ইকবাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে অ্যাডভোকেট আশানুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি নাজমুস সাকিব, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে সাগর ঘোষ এবং স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে ফরহাদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টায় দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অন্তরা সেলিমা হুদা।
এ সময় শমসের মবিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, তরিকত ফেডারেশন সাবেক মহাসচিব (বহিষ্কৃত) এমএ আউয়াল, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, প্রগতিশীল ন্যাপের আহ্বায়ক পরশ ভাসানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাউন্সিলে শমসের ও তৈমুরকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন অন্তরা সেলিমা হুদা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকারের সময় মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কেয়ারটেকার সরকারের রূপরেখা দিয়েছিলেন এবং মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন নাজমুল হুদা। তার রূপরেখাকে যদি সম্মান করা হতো, তবে আজকের দিনে এসে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। তিনি বলেন, সব সরকারেরই ক্ষমতা ছাড়তে কষ্ট হয়। ক্ষমতায় থেকে একজন মিনিস্টার হয়েও জনগণের কাছে এমন ফর্মুলা দিয়ে দেশপ্রেম ও বড় মনের পরিচয় দিয়েছিলেন নাজমুল হুদা। তা আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। কেয়ারটেকার সরকারের জন্য বিএনপি কত আন্দোলন করছে।
অথচ সেই সময় বিএনপিই ক্ষমতায় ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপি ১৬ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন পায়। এর ৩ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি আমার বাবা তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ইন্তেকাল করেন। এর কিছুদিন পর আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করি। এমন পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব নেওয়া আমার জন্য কষ্টকর ছিল। দলের একজন কর্মী হিসাবে আমি গর্ববোধ করি। আমার বাবা ছিলেন জননেতা, জনগণের কাছের মানুষ, অত্যন্ত কর্মীবান্ধব। তিনি বারবার সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা উঠে এলে নিজেকে সান্ত্বনা দিই। বর্তমানে অনেক বিষয়ই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর অন্যতম দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঘুস, দুর্নীতি, অনিয়ম চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা দেখব, তারা কী করে এবং পরে তৃণমূল বিএনপির পদক্ষেপ জানানো হবে।’
কেন এই দলে যোগ দিলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘আমার দল (বিএনপি) তো আমাকে বহিষ্কার করেছে। এরপর আমি দেড় বছর অপেক্ষা করেছি, একটা শোকজ নোটিশের জন্য। কেন বহিষ্কার করেছে আমাকে জানান। সেটার জবাব আমি দেব, আর আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে দেশবাসী সেটা জানতে পারবে। কিন্তু সেই সুযোগ আমাকে দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আগে যে রাজনীতি করতাম সেই দলের সঙ্গে এই নামের (তৃণমূল বিএনপি) ও আদর্শের মিল আছে এবং নাজমুল হুদা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকারী সদস্য ছিলেন তিনিও এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। এ জন্য এই দলে যোগ দিয়েছি। এই দলের প্রতিটি সদস্য তৃণমূলের অথরিটি। কেউ কারও ওপরে খবরদারি করতে পারবে না।’
তবে এ কাউন্সিল নিয়ে উপস্থিত অনেকে হতাশা প্রকাশ করেছেন। এক নেতা জানান, বলা হয়েছিল চমক আছে। বিএনপির একঝাঁক সাবেক নেতা যোগ দেবেন। কিন্তু বিএনপির সাবেক দুই নেতা ছাড়া পরিচিত আর কাউকে দেখা যায়নি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023