অলসতা মানুষকে কর্মবিমুখ করে
jugantor
অলসতা মানুষকে কর্মবিমুখ করে

  ইমাম হোসেন  

১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

পৃথিবীতে আমাদের সময় সীমিত। সময় আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি সেকেন্ডে ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে আর আমাদের জীবন থেকে ধীরে ধীরে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। কখনো থেমে থাকে না সময়। তবে সময়ের সঠিক ব্যবহারে দ্রুত সাফল্য লাভ করা যায়। আমরা অনেকেই সময় বাঁচানোর কথা বলি। কিন্তু সময় কখনোই বাঁচানো যায় না। সময় শুধুই ব্যয় হতে থাকে। সময় একবার চলে গেলে তা আর কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আর তাই একজীবনে আমরা যা কিছু অর্জন করতে চাই কিংবা নিজের যে স্বপ্নগুলো পূরণ করতে চাই, তা বাস্তবে রূপ দিতে সঠিক সময়েই সঠিক কাজটি করা প্রয়োজন। মনের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে কাজে লেগে গেলে সফলতা আসবেই।

আমরা অনেকেই ভাগ্যের দোহাই দিয়ে থাকি যে এটা আমার ভাগ্যে নেই, যা ঠিক নয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা যার যার কাজ ও চেষ্টা অনুযায়ী ফল নির্ধারণ করে থাকেন। আর সেজন্যই ফকির লালন শাহ বলে গেছেন, সময় গেলে সাধন হবে না!

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। যাতায়াত ও যোগাযোগব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে। প্রযুক্তির শেকলে আমাদের জীবনকে আবদ্ধ করে ফেলেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুক ব্যবহার করি, ইউটিউবে ভিডিও দেখি, গেমস খেলি। দুই মিনিটের কথা বলে ফেসবুকে প্রবেশ করে মনের অজান্তেই ৩০ মিনিট কাটিয়ে ফেলি। অলসতা সব ধ্বংসের মূল। কোনো কাজেই অলসতা করা উচিত নয়। অলসতা মানুষকে কর্মবিমুখ করে তোলে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি কাজ মনোযোগের সঙ্গে শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।

সময়ের সঠিক ব্যবহারের জন্য আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। যে কাজটি করতে চাই, সেটি সঠিকভাবে সঠিক সময়ে মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। পৃথিবীতে অনেক কিছু দাম দিয়ে কেনা গেলেও সময় কেনা যায় না। সময়ের প্রতিটি খণ্ডিত অংশকে গুরুত্ব দিয়ে ধাপে ধাপে কাজ করে গেলে আমাদের জীবনে সফলতা আসবেই। স্প্যানিশ লেখক বালতাজার গার্সিয়ান বলেছেন, ‘যার হাতে কিছুই নেই, তার হাতেও সময় আছে। এটাই আসলে সবচেয়ে বড় সম্পদ।’

ছোটবেলায় একটা উর্দু প্রবাদবাক্য পড়েছিলাম। বাক্যটি হলো ‘আজ কা কাম কাল পার নাহ ডাল’, যার অর্থ হলো-আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রেখে দিও না। আপনি যদি আপনার বর্তমানের কাজ বর্তমানেই করে ফেলেন, সফল হবেনই। সময়ের অপচয়ও হবে না। তাহলেই আপনি আপনার সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন।

ইমাম হোসেন : প্রাবন্ধিক

অলসতা মানুষকে কর্মবিমুখ করে

 ইমাম হোসেন 
১৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

পৃথিবীতে আমাদের সময় সীমিত। সময় আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি সেকেন্ডে ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে আর আমাদের জীবন থেকে ধীরে ধীরে সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। কখনো থেমে থাকে না সময়। তবে সময়ের সঠিক ব্যবহারে দ্রুত সাফল্য লাভ করা যায়। আমরা অনেকেই সময় বাঁচানোর কথা বলি। কিন্তু সময় কখনোই বাঁচানো যায় না। সময় শুধুই ব্যয় হতে থাকে। সময় একবার চলে গেলে তা আর কোনোভাবেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আর তাই একজীবনে আমরা যা কিছু অর্জন করতে চাই কিংবা নিজের যে স্বপ্নগুলো পূরণ করতে চাই, তা বাস্তবে রূপ দিতে সঠিক সময়েই সঠিক কাজটি করা প্রয়োজন। মনের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ঝেড়ে ফেলে কাজে লেগে গেলে সফলতা আসবেই।

আমরা অনেকেই ভাগ্যের দোহাই দিয়ে থাকি যে এটা আমার ভাগ্যে নেই, যা ঠিক নয়। কারণ সৃষ্টিকর্তা যার যার কাজ ও চেষ্টা অনুযায়ী ফল নির্ধারণ করে থাকেন। আর সেজন্যই ফকির লালন শাহ বলে গেছেন, সময় গেলে সাধন হবে না!

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। যাতায়াত ও যোগাযোগব্যবস্থা অনেক সহজ হয়েছে। প্রযুক্তির শেকলে আমাদের জীবনকে আবদ্ধ করে ফেলেছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুক ব্যবহার করি, ইউটিউবে ভিডিও দেখি, গেমস খেলি। দুই মিনিটের কথা বলে ফেসবুকে প্রবেশ করে মনের অজান্তেই ৩০ মিনিট কাটিয়ে ফেলি। অলসতা সব ধ্বংসের মূল। কোনো কাজেই অলসতা করা উচিত নয়। অলসতা মানুষকে কর্মবিমুখ করে তোলে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি কাজ মনোযোগের সঙ্গে শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।

সময়ের সঠিক ব্যবহারের জন্য আগে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। যে কাজটি করতে চাই, সেটি সঠিকভাবে সঠিক সময়ে মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। পৃথিবীতে অনেক কিছু দাম দিয়ে কেনা গেলেও সময় কেনা যায় না। সময়ের প্রতিটি খণ্ডিত অংশকে গুরুত্ব দিয়ে ধাপে ধাপে কাজ করে গেলে আমাদের জীবনে সফলতা আসবেই। স্প্যানিশ লেখক বালতাজার গার্সিয়ান বলেছেন, ‘যার হাতে কিছুই নেই, তার হাতেও সময় আছে। এটাই আসলে সবচেয়ে বড় সম্পদ।’

ছোটবেলায় একটা উর্দু প্রবাদবাক্য পড়েছিলাম। বাক্যটি হলো ‘আজ কা কাম কাল পার নাহ ডাল’, যার অর্থ হলো-আজকের কাজ আগামীকালের জন্য রেখে দিও না। আপনি যদি আপনার বর্তমানের কাজ বর্তমানেই করে ফেলেন, সফল হবেনই। সময়ের অপচয়ও হবে না। তাহলেই আপনি আপনার সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন।

ইমাম হোসেন : প্রাবন্ধিক

 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন