রাঙ্গামাটিতে পুলিশ ছাত্রলীগ সংঘর্ষে : আহত ৫০
jugantor
দুর্বৃত্তের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা আহত
রাঙ্গামাটিতে পুলিশ ছাত্রলীগ সংঘর্ষে : আহত ৫০
আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

  রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি  

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমার ওপর সন্ত্রাসী হামলার জেরে রাঙ্গামাটি শহরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১ সাংবাদিক, পুলিশ, পথচারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। কর্তব্য পালনকালে ছাত্রলীগের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সত্রং চাকমা। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এবং এসপি ও কোতোয়ালি থানার ওসিকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবিতে আজ (মঙ্গলবার) জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।

সোমবার সন্ধ্যার পর শহরের বনরূপা, হ্যাপির মোড়, জজ আদালত প্রাঙ্গণ, কলেজগেটসহ কয়েক স্থানে এসব বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে। জনমনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের নির্দেশে বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায় বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। হামলায় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। অপরপক্ষে পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশ। আহত অনেককে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক আহতদের বিস্তারিত নাম জানা যায়নি। জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমাকে কুপিয়ে আহত করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার জন্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাস্তা অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২০-৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। শহরের বনরূপা এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীর লাঠির আঘাতে আহত হন সমকাল প্রতিনিধি। সন্ধ্যা প্রায় ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় বেপরোয়া হামলা চালায় পুলিশ।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শহরে সব ধরনের যান চলাচল এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের নির্দেশে এ হামলা চালায় পুলিশ। তিনি এ ঘটনার দায়ে পুলিশ সুপার এবং কোতোয়ালি থানার ওসি সত্যজিৎ বড়–য়াকে প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা বলে জানান তিনি।

দুর্বৃত্তের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা আহত

রাঙ্গামাটিতে পুলিশ ছাত্রলীগ সংঘর্ষে : আহত ৫০

আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
 রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমার ওপর সন্ত্রাসী হামলার জেরে রাঙ্গামাটি শহরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১ সাংবাদিক, পুলিশ, পথচারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। কর্তব্য পালনকালে ছাত্রলীগের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সত্রং চাকমা। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এবং এসপি ও কোতোয়ালি থানার ওসিকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবিতে আজ (মঙ্গলবার) জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ।

সোমবার সন্ধ্যার পর শহরের বনরূপা, হ্যাপির মোড়, জজ আদালত প্রাঙ্গণ, কলেজগেটসহ কয়েক স্থানে এসব বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে। জনমনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের নির্দেশে বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায় বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ। হামলায় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। অপরপক্ষে পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশ। আহত অনেককে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক আহতদের বিস্তারিত নাম জানা যায়নি। জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমাকে কুপিয়ে আহত করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার জন্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাস্তা অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২০-৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। শহরের বনরূপা এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীর লাঠির আঘাতে আহত হন সমকাল প্রতিনিধি। সন্ধ্যা প্রায় ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় বেপরোয়া হামলা চালায় পুলিশ।

ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শহরে সব ধরনের যান চলাচল এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের নির্দেশে এ হামলা চালায় পুলিশ। তিনি এ ঘটনার দায়ে পুলিশ সুপার এবং কোতোয়ালি থানার ওসি সত্যজিৎ বড়–য়াকে প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ (মঙ্গলবার) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা বলে জানান তিনি।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন