ধান কাটার শ্রমিক পাঠানো হল বরেন্দ্র অঞ্চলে
jugantor
কুমিল্লা পুলিশ সুপারের বিশেষ উদ্যোগ
ধান কাটার শ্রমিক পাঠানো হল বরেন্দ্র অঞ্চলে

  কুমিল্লা ব্যুরো  

০৪ মে ২০২০, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের বিশেষ উদ্যোগে ধান কাটার জন্য আটকে পড়া ১৩৫ শ্রমিককে পাঠানো হল বরেন্দ্র অঞ্চলে। রোববার দুপুরে তিনটি বাসযোগে চতুর্থ দফায় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকায় ধান কাটার জন্য এসব শ্রমিক পাঠানো হয়।

এতে ওই এলাকায় শ্রমিক সংকট নিরসন এবং পাকা ধান ঘরে তোলা সহজ হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণার পর গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ করতে কুমিল্লায় আসা বিপুলসংখ্যক শ্রমিক আটকা পড়েন। এ সময় শ্রমিকরা কোনো কাজ না পেয়ে অর্থ ও খাবার সংকটে পড়েছিলেন।

দেশের কৃষি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ জেলায় আটকে পড়া কৃষি শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর জন্য আমরা সহযোগিতা করেছি। কারণ বরেন্দ্র ও হাওর এলাকায় পর্যাপ্ত কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে কৃষকের পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে ধান কাটার কাজে নেমে পড়বেন।

শ্রমিকদের গাড়িতে ওঠানোর আগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবাণুনাশক স্প্রে করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রত্যেক শ্রমিকের শরীরের তাপমাত্রা মাপা, মাস্ক ও শুকনো খাবারের প্যাকেট দেয়া হয়।

এ সময় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন, আজিম উল আহসান, তানভীর সালেহীন ইমন, নাজমুল হাসান রাফী, ডিআইও-ওয়ান মাঈনুদ্দিন, ডিবির ওসি আনোয়ারুল আজিম, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হকসহ জেলা পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লা পুলিশ সুপারের বিশেষ উদ্যোগ

ধান কাটার শ্রমিক পাঠানো হল বরেন্দ্র অঞ্চলে

 কুমিল্লা ব্যুরো 
০৪ মে ২০২০, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের বিশেষ উদ্যোগে ধান কাটার জন্য আটকে পড়া ১৩৫ শ্রমিককে পাঠানো হল বরেন্দ্র অঞ্চলে। রোববার দুপুরে তিনটি বাসযোগে চতুর্থ দফায় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকায় ধান কাটার জন্য এসব শ্রমিক পাঠানো হয়।

এতে ওই এলাকায় শ্রমিক সংকট নিরসন এবং পাকা ধান ঘরে তোলা সহজ হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণার পর গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ করতে কুমিল্লায় আসা বিপুলসংখ্যক শ্রমিক আটকা পড়েন। এ সময় শ্রমিকরা কোনো কাজ না পেয়ে অর্থ ও খাবার সংকটে পড়েছিলেন।

দেশের কৃষি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ জেলায় আটকে পড়া কৃষি শ্রমিকদের সেখানে পাঠানোর জন্য আমরা সহযোগিতা করেছি। কারণ বরেন্দ্র ও হাওর এলাকায় পর্যাপ্ত কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে কৃষকের পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে ধান কাটার কাজে নেমে পড়বেন।

শ্রমিকদের গাড়িতে ওঠানোর আগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবাণুনাশক স্প্রে করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রত্যেক শ্রমিকের শরীরের তাপমাত্রা মাপা, মাস্ক ও শুকনো খাবারের প্যাকেট দেয়া হয়।

এ সময় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন, আজিম উল আহসান, তানভীর সালেহীন ইমন, নাজমুল হাসান রাফী, ডিআইও-ওয়ান মাঈনুদ্দিন, ডিবির ওসি আনোয়ারুল আজিম, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হকসহ জেলা পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন