বেগমগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ ও গর্ভপাত মামলা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তার, ইউপি সদস্য মুকবুল আহম্মদ, কমল সিংহ ও ফারুক হোসেন।
তবে অভিযুক্ত ধর্ষক কাউসার আহমদ ওরফে হামিদ পলাতক রয়েছে। সে পেশায় পল্লী চিকিৎসক এবং উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রহম সর্দার বাড়ির আলী আকবর ব্যাপারীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পল্লী চিকিৎসক হামিদ ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ৪ জুলাই হামিদ ওই কিশোরীকে তার সহযোগী কমল সিংহের মাধ্যমে চৌমুহনীর কলেজ রোডের নারী হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তারের বাসায় নিয়ে ওষুধের মাধ্যমে গর্ভের শিশুটিকে মেরে ফেলে ও গর্ভপাত ঘটায়।
ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে বলে জানান ফারুকসহ কয়েকজন। কিন্তু মীমাংসা না করে বিষয়টি নিয়ে তারা টালবাহানা করলে কিশোরীর মা থানায় মামলা করেন। বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষকসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বেগমগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ ও গর্ভপাত মামলা
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে। ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তার, ইউপি সদস্য মুকবুল আহম্মদ, কমল সিংহ ও ফারুক হোসেন।
তবে অভিযুক্ত ধর্ষক কাউসার আহমদ ওরফে হামিদ পলাতক রয়েছে। সে পেশায় পল্লী চিকিৎসক এবং উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রহম সর্দার বাড়ির আলী আকবর ব্যাপারীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পল্লী চিকিৎসক হামিদ ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ৪ জুলাই হামিদ ওই কিশোরীকে তার সহযোগী কমল সিংহের মাধ্যমে চৌমুহনীর কলেজ রোডের নারী হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তারের বাসায় নিয়ে ওষুধের মাধ্যমে গর্ভের শিশুটিকে মেরে ফেলে ও গর্ভপাত ঘটায়।
ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে বলে জানান ফারুকসহ কয়েকজন। কিন্তু মীমাংসা না করে বিষয়টি নিয়ে তারা টালবাহানা করলে কিশোরীর মা থানায় মামলা করেন। বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষকসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।