ডিএনএ টেস্টে পরিচয় মিলল ধর্ষকের
নাঙ্গলকোটে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা
কুমিল্লা ব্যুরো
২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নাঙ্গলকোটে লম্পটের লালসার শিকার কিশোরীর গর্ভজাত সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ধর্ষকের ডিএনএ’র সঙ্গে শিশুটির ডিএনএ মিলে গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শিশুটির জন্মের তিন মাস পর ডিএনএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হল। ধর্ষক সোহেল (৪৫) কারাগারে আছেন। নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ষক ও নবজাতকের ডিএনএ মিলে গেছে। দু’জনের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় সোহেলের ধর্ষণের শিকার হয়েই ওই কিশোরী সন্তানের জন্ম দিয়েছে তা প্রমাণিত হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নাঙ্গলকোট থানার এসআই আক্তার হোসেন জানান, শিগগিরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে।
ধর্ষণ মামলা থেকে জানা যায়, লম্পট সোহেল নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরীর বাবা ১৩ জুন সোহেলকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ সোহেলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। জুলাইয়ের শেষদিকে কিশোরীটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। শিশুটিকে চৌমুহনীর নিঃসন্তান দম্পতি দত্তক নিয়েছে। পরিবার ও স্বজনদের চাপে সোহেলের জামিনের আবেদন করেন কিশোরীর বাবা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষক সোহেল জামিনে মুক্ত হন। ১৭ জুলাই জামিনে বেরিয়ে সোহেল ফুলের মালা গলায় পড়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে এলাকায় আসেন। পরদিন তার আয়োজনে এলাকায় ভূরিভোজ দেয়া হয়। একজন ধর্ষককে এভাবে ধুমধাম করে মোটর শোভাযাত্রাসহ ফুলের মালা পরিয়ে বাড়ি নেয়ার ছবি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে নেয়া হয়। জামিনের ১৫ দিন পর সোহেলের জামিন বাতিল করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
নাঙ্গলকোটে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা
ডিএনএ টেস্টে পরিচয় মিলল ধর্ষকের
নাঙ্গলকোটে লম্পটের লালসার শিকার কিশোরীর গর্ভজাত সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ধর্ষকের ডিএনএ’র সঙ্গে শিশুটির ডিএনএ মিলে গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শিশুটির জন্মের তিন মাস পর ডিএনএ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হল। ধর্ষক সোহেল (৪৫) কারাগারে আছেন। নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ষক ও নবজাতকের ডিএনএ মিলে গেছে। দু’জনের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় সোহেলের ধর্ষণের শিকার হয়েই ওই কিশোরী সন্তানের জন্ম দিয়েছে তা প্রমাণিত হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নাঙ্গলকোট থানার এসআই আক্তার হোসেন জানান, শিগগিরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে।
ধর্ষণ মামলা থেকে জানা যায়, লম্পট সোহেল নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিশোরীর বাবা ১৩ জুন সোহেলকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ সোহেলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। জুলাইয়ের শেষদিকে কিশোরীটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। শিশুটিকে চৌমুহনীর নিঃসন্তান দম্পতি দত্তক নিয়েছে। পরিবার ও স্বজনদের চাপে সোহেলের জামিনের আবেদন করেন কিশোরীর বাবা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষক সোহেল জামিনে মুক্ত হন। ১৭ জুলাই জামিনে বেরিয়ে সোহেল ফুলের মালা গলায় পড়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে এলাকায় আসেন। পরদিন তার আয়োজনে এলাকায় ভূরিভোজ দেয়া হয়। একজন ধর্ষককে এভাবে ধুমধাম করে মোটর শোভাযাত্রাসহ ফুলের মালা পরিয়ে বাড়ি নেয়ার ছবি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে নেয়া হয়। জামিনের ১৫ দিন পর সোহেলের জামিন বাতিল করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।