নিখোঁজ পাঁচজনের সন্ধান মেলেনি, উৎকণ্ঠায় স্বজনরা
রাঙ্গাবালীতে স্পিডবোট ডুবি
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৪ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটে স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ যাত্রীর সন্ধান এখনও মেলেনি। এক রাত এক দিন পার হলেও খোঁজ না পাওয়ায় উৎকণ্ঠায় আছেন স্বজনরা। তাদের উদ্ধারে শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়েছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মহিবুল্লাহ (৪৫), কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), বেসরকারি এনজিও আশার খালগোড়া শাখার ঋণ অফিসার হুমায়ুন কবির (৩০), গলাচিপার আমখোলার বাসিন্দা হাসান (৩৫) ও বাউফলের কনকদিয়ার বাসিন্দা ইমরান (৩৪)।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। এ অবস্থায় বিকালে কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী স্পিডবোটের আগুনমুখা নদীর মাঝামাঝি গিয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে যায়। এসময় ১৭ জন যাত্রী ও এক চালকসহ ডুবে যায় স্পিডবোটটি। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ যাত্রী অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হলেও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনসহ একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, তাদের লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়নি। নদীতে ঢেউ বাড়লে স্পিডবোট তীরে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করলেও তা শোনেননি চালক। তবে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষের দাবি, নদী তখন স্বাভাবিক ছিল।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে স্পিডবোট চালনোয় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই রুটে দ্রুত ফেরি চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক সাদিকুর রহমান বলেন, নৌ হুশিয়ারি অমান্য করায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মেরিন কোর্টে মামলা করা হবে। উদ্ধার কাজের জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসেছে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রাঙ্গাবালীতে স্পিডবোট ডুবি
নিখোঁজ পাঁচজনের সন্ধান মেলেনি, উৎকণ্ঠায় স্বজনরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া-পানপট্টি নৌরুটে স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ যাত্রীর সন্ধান এখনও মেলেনি। এক রাত এক দিন পার হলেও খোঁজ না পাওয়ায় উৎকণ্ঠায় আছেন স্বজনরা। তাদের উদ্ধারে শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়েছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মহিবুল্লাহ (৪৫), কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), বেসরকারি এনজিও আশার খালগোড়া শাখার ঋণ অফিসার হুমায়ুন কবির (৩০), গলাচিপার আমখোলার বাসিন্দা হাসান (৩৫) ও বাউফলের কনকদিয়ার বাসিন্দা ইমরান (৩৪)।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। এ অবস্থায় বিকালে কোড়ালিয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী স্পিডবোটের আগুনমুখা নদীর মাঝামাঝি গিয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে যায়। এসময় ১৭ জন যাত্রী ও এক চালকসহ ডুবে যায় স্পিডবোটটি। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে চালকসহ ১৩ যাত্রী অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হলেও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া রাঙ্গাবালীর বাহেরচর কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনসহ একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, তাদের লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়নি। নদীতে ঢেউ বাড়লে স্পিডবোট তীরে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করলেও তা শোনেননি চালক। তবে স্পিডবোট কর্তৃপক্ষের দাবি, নদী তখন স্বাভাবিক ছিল।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে স্পিডবোট চালনোয় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই রুটে দ্রুত ফেরি চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক সাদিকুর রহমান বলেন, নৌ হুশিয়ারি অমান্য করায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মেরিন কোর্টে মামলা করা হবে। উদ্ধার কাজের জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসেছে বলে জানান তিনি।