নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও উত্তীর্ণ তালিকায় প্রার্থী
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট
যুগান্তর রিপোর্ট
৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
লিখিত পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও উত্তীর্ণের তালিকায় নাম এসেছে এক প্রার্থীর। এমটি ঘটেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিএফআরআই) বৈজ্ঞানিক কর্মকতা (অস্থায়ী রাজস্ব) পদে নিয়োগ পরীক্ষায়।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে শনিবার ৪২টি পদের বিপরীতে ৬০ নম্বরের এই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার ভোরে ১২৭ জনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়। একই দিনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোল নং-২১৯০ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও উত্তীর্ণের তালিকায় তার রোল আসে। প্রার্থীর নাম শামসুন্নাহার। তার বাড়ি বগুড়ায়। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রী।
শামসুন্নাহার জানায়, সে বগুড়াতে অবস্থান করছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে তাকে বিএফআরআই থেকে সাইফ নামে এক কর্মকর্তা রোববার ফোনে হুমকি দিয়ে বলেন, সে যেহেতু লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি, তাই যেন মৌখিক দিতে না আসে।
জানা যায়, ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মোট প্রার্থী ছিল ২ হাজার ৮২০ জন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ হাজার ২১৪ জন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে বলেন, বিএফআরআইয়ে ভালো পরীক্ষা দিয়ে লাভ হয় না। পরীক্ষা এখানে শুধু আইওয়াশ। হয় ঘুষ না হয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদবির ছাড়া চাকরি হয় না। গত কয়েকটি নিয়োগে এমনই হয়েছে। তাই আমরা পরীক্ষা দিতে যাইনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফলাফলে তার নাম নেই। এখানে অনেক দুর্নীতি হয়। যাদের নেয়া হবে আগে থেকেই ঠিক থাকে, পরীক্ষায় তাদের অসদুপায়ে তালিকাভুক্ত করা হয় টাকার বিনিময়ে। বিএফআরআই নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতির কথা এখন ওপেন সিক্রেট।
এ বিষয়ে মিরাজুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমার রোল নং-২১৯১, ফলাফল প্রকাশের পর আমার পাশের রোল নং ফলাফলে দেখতে পেরে তাকে (শামসুন্নাহার, একই বিভাগের সহপাঠী) কল দিই। আমি জানতাম, সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তবুও তার রোল উত্তীর্ণের তালিকায় আসে। বিষয়টি শুনে সে বিস্মিত হয়। এরপর বিএফআরআই কর্তৃপক্ষকে জানালে বিষয়টি গোপন রাখতে দু’জনকেই চাপ দেয়। মৌখিক পরীক্ষার স্থানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানালে তাকে অপমান করে বের করে দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে অভিযোগ থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও উত্তীর্ণ তালিকায় প্রার্থী
লিখিত পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও উত্তীর্ণের তালিকায় নাম এসেছে এক প্রার্থীর। এমটি ঘটেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিএফআরআই) বৈজ্ঞানিক কর্মকতা (অস্থায়ী রাজস্ব) পদে নিয়োগ পরীক্ষায়।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে শনিবার ৪২টি পদের বিপরীতে ৬০ নম্বরের এই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার ভোরে ১২৭ জনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়। একই দিনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রোল নং-২১৯০ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলেও উত্তীর্ণের তালিকায় তার রোল আসে। প্রার্থীর নাম শামসুন্নাহার। তার বাড়ি বগুড়ায়। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ সেশনের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রী।
শামসুন্নাহার জানায়, সে বগুড়াতে অবস্থান করছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে তাকে বিএফআরআই থেকে সাইফ নামে এক কর্মকর্তা রোববার ফোনে হুমকি দিয়ে বলেন, সে যেহেতু লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি, তাই যেন মৌখিক দিতে না আসে।
জানা যায়, ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মোট প্রার্থী ছিল ২ হাজার ৮২০ জন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ হাজার ২১৪ জন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে বলেন, বিএফআরআইয়ে ভালো পরীক্ষা দিয়ে লাভ হয় না। পরীক্ষা এখানে শুধু আইওয়াশ। হয় ঘুষ না হয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদবির ছাড়া চাকরি হয় না। গত কয়েকটি নিয়োগে এমনই হয়েছে। তাই আমরা পরীক্ষা দিতে যাইনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফলাফলে তার নাম নেই। এখানে অনেক দুর্নীতি হয়। যাদের নেয়া হবে আগে থেকেই ঠিক থাকে, পরীক্ষায় তাদের অসদুপায়ে তালিকাভুক্ত করা হয় টাকার বিনিময়ে। বিএফআরআই নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতির কথা এখন ওপেন সিক্রেট।
এ বিষয়ে মিরাজুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমার রোল নং-২১৯১, ফলাফল প্রকাশের পর আমার পাশের রোল নং ফলাফলে দেখতে পেরে তাকে (শামসুন্নাহার, একই বিভাগের সহপাঠী) কল দিই। আমি জানতাম, সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তবুও তার রোল উত্তীর্ণের তালিকায় আসে। বিষয়টি শুনে সে বিস্মিত হয়। এরপর বিএফআরআই কর্তৃপক্ষকে জানালে বিষয়টি গোপন রাখতে দু’জনকেই চাপ দেয়। মৌখিক পরীক্ষার স্থানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানালে তাকে অপমান করে বের করে দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে অভিযোগ থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।