ধুনটে ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার
বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণ মামলার ২ নম্বর আসামি ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবু গ্রেফতার হয়েছেন। ধুনট থানা পুলিশ শনিবার দুপুরে তাকে বগুড়া সদর থেকে গ্রেফতার করে। তিনি ধুনটের গোপালনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ও দেউরিয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। তবে প্রধান আসামি মাসুদ রানা এখনও অধরা।
পুলিশ জানায়, মাসুদ রানা ১৬ জুলাই সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে অটেরিকশায় নিয়ে যায়। মাসুদ তাকে এক মাস একটি বাড়িতে আটকে রেখে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর মা ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মাসুদ রানা, ইউপি সদস্য বাবুসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২৪ আগস্ট ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনায় রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
পুলিশ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করালে রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। আসামিদের গ্রেফতার না করে তাদের পক্ষ নেয়া ও বাদীকে গালাগাল করার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে ২ ডিসেম্বর ক্লোজড করা হয়েছে। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা তদন্তভার গ্রহণ করে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে অন্য আসামি আবদুল মান্নান ও সাথী খাতুনকে গ্রেফতার করেছেন। ওসি জানান, গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামি মাসুদ রানাসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ধুনটে ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার
বগুড়ার ধুনটে স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে এক মাস আটকে রেখে ধর্ষণ মামলার ২ নম্বর আসামি ইউপি সদস্য ফজলুল হক বাবু গ্রেফতার হয়েছেন। ধুনট থানা পুলিশ শনিবার দুপুরে তাকে বগুড়া সদর থেকে গ্রেফতার করে। তিনি ধুনটের গোপালনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ও দেউরিয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। তবে প্রধান আসামি মাসুদ রানা এখনও অধরা।
পুলিশ জানায়, মাসুদ রানা ১৬ জুলাই সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে অটেরিকশায় নিয়ে যায়। মাসুদ তাকে এক মাস একটি বাড়িতে আটকে রেখে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর মা ১২ আগস্ট ধুনট থানায় মাসুদ রানা, ইউপি সদস্য বাবুসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২৪ আগস্ট ছাত্রীকে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনায় রাস্তার পাশে ফেলে যায়।
পুলিশ হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করালে রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। আসামিদের গ্রেফতার না করে তাদের পক্ষ নেয়া ও বাদীকে গালাগাল করার অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আহসানুল হককে ২ ডিসেম্বর ক্লোজড করা হয়েছে। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা তদন্তভার গ্রহণ করে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে অন্য আসামি আবদুল মান্নান ও সাথী খাতুনকে গ্রেফতার করেছেন। ওসি জানান, গ্রেফতার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামি মাসুদ রানাসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।