চান্দিনা ও কটিয়াদীতে হামলা-সংঘর্ষ, আহত ২০
পৌরসভা নির্বাচন
যুগান্তর ডেস্ক
১২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চান্দিনায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
কুমিল্লা ও চান্দিনা : চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে ছায়কোট এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আমি গণসংযোগ করছিলাম। এ সময় আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে আমিসহ ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হই। এদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। হামলার পর আহত নেতাকর্মীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে গেলে সেখানেও সন্ত্রাসীরা আমাদের বাধা দিয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষকে দায়ী করেছেন।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) : কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের প্রথম দিনেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিএনপির সমর্থকরা তাদের নেতা তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপকে বরণ করতে বাসস্ট্যান্ড এলাকার পেট্রোল পাম্পে জড়ো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আ’লীগ প্রার্থী শওকত উসমান বলেন, আমার সমর্থকরা বাসস্ট্যান্ড দিয়ে আসার সময় বিএনপির সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর দলের সমর্থকরা আমাকে গ্রহণ করে পেট্রোল পাম্পে জড়ো হয়। এমন সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা বৈঠা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, আ’লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পৌরসভা নির্বাচন
চান্দিনা ও কটিয়াদীতে হামলা-সংঘর্ষ, আহত ২০
পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার চান্দিনায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যুরো ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
কুমিল্লা ও চান্দিনা : চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে ছায়কোট এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আমি গণসংযোগ করছিলাম। এ সময় আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে আমিসহ ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হই। এদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। হামলার পর আহত নেতাকর্মীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে গেলে সেখানেও সন্ত্রাসীরা আমাদের বাধা দিয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষকে দায়ী করেছেন।
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) : কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের প্রথম দিনেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে বিএনপির সমর্থকরা তাদের নেতা তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপকে বরণ করতে বাসস্ট্যান্ড এলাকার পেট্রোল পাম্পে জড়ো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আ’লীগ প্রার্থী শওকত উসমান বলেন, আমার সমর্থকরা বাসস্ট্যান্ড দিয়ে আসার সময় বিএনপির সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর দলের সমর্থকরা আমাকে গ্রহণ করে পেট্রোল পাম্পে জড়ো হয়। এমন সময় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা বৈঠা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, আ’লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।