বরখাস্ত কর্মচারী রবিউলের বিচার শুরু
ইউএনওর ওপর হামলা
দিনাজপুর প্রতিনিধি
১৮ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার একমাত্র আসামি তারই অফিসের বরখাস্ত কর্মচারী (মালী) রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। রোববার দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে আসামি রবিউলকে হাজির করে এ অভিযোগ গঠন হয়।
দিনাজপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. ইসরাইল হোসেন জানান, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারি। এ মামলায় ৫২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গত বছরের ২১ নভেম্বর রবিউল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর। এরপর এ অভিযোগপত্র নিয়ে আদালতে শুনানি শেষে রোববার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলো।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে দুর্বত্তরা।
এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দীন বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। মামলাটি ঘোড়াঘাট থানা থেকে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আসামি আসাদুল ইসলাম, নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার আরেক আসামি নাদিম হোসেন পলাশকে রিমান্ডে না নিয়েই আদালতে সোপর্দ করা হয়। সবশেষ আসামি রবিউল ইসলামকে প্রথম দফায় ছয়দিন ও দ্বিতীয় দফায় তিনদিন রিমান্ড শেষে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি রবিউল ইসলাম। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ইউএনওর ওপর হামলা
বরখাস্ত কর্মচারী রবিউলের বিচার শুরু
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার একমাত্র আসামি তারই অফিসের বরখাস্ত কর্মচারী (মালী) রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। রোববার দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে আসামি রবিউলকে হাজির করে এ অভিযোগ গঠন হয়।
দিনাজপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. ইসরাইল হোসেন জানান, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারি। এ মামলায় ৫২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গত বছরের ২১ নভেম্বর রবিউল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর। এরপর এ অভিযোগপত্র নিয়ে আদালতে শুনানি শেষে রোববার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হলো।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে দুর্বত্তরা।
এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দীন বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। মামলাটি ঘোড়াঘাট থানা থেকে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আসামি আসাদুল ইসলাম, নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার আরেক আসামি নাদিম হোসেন পলাশকে রিমান্ডে না নিয়েই আদালতে সোপর্দ করা হয়। সবশেষ আসামি রবিউল ইসলামকে প্রথম দফায় ছয়দিন ও দ্বিতীয় দফায় তিনদিন রিমান্ড শেষে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি রবিউল ইসলাম। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।