বরকত-রুবেল দুদকের মামলায়ও গ্রেফতার
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো. রবিউল আলম আসামিদের পৃথক দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
১১ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. আলী আকবর পাচার মামলায় কারাগারে থাকা দুই আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। যার ওপর সোমবার শুনানি হয়।
গত বছরের ১২ নভেম্বর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। রুবেলের বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ১৭০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে একটি এবং বরকতের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে অপর মামলাটি হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন।
এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি অর্থ পাচার মামলায় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুই আসামির মোট পাঁচ হাজার ৭০৬ বিঘা সম্পত্তি এবং বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ ৫৫টি গাড়ি ক্রোকের আদেশ দেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের ১৮৮টি হিসাবে আসামিদের থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকা ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৬ জুন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে রাজধানীর কাফরুল থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে সিআইডি। এতে অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় রুবেল ও বরকতকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করেন তারা। তাদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যানুযায়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ মামলায় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেনও গ্রেফতার হন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
বরকত-রুবেল দুদকের মামলায়ও গ্রেফতার
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো. রবিউল আলম আসামিদের পৃথক দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
১১ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. আলী আকবর পাচার মামলায় কারাগারে থাকা দুই আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। যার ওপর সোমবার শুনানি হয়।
গত বছরের ১২ নভেম্বর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। রুবেলের বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ১৭০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে একটি এবং বরকতের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে অপর মামলাটি হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন।
এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি অর্থ পাচার মামলায় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুই আসামির মোট পাঁচ হাজার ৭০৬ বিঘা সম্পত্তি এবং বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ ৫৫টি গাড়ি ক্রোকের আদেশ দেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের ১৮৮টি হিসাবে আসামিদের থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকা ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৬ জুন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে প্রধান আসামি করে রাজধানীর কাফরুল থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে সিআইডি। এতে অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় রুবেল ও বরকতকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করেন তারা। তাদের স্বীকারোক্তি ও তথ্যানুযায়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ মামলায় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বেল্লাল হোসেনও গ্রেফতার হন।