ঝিনাইদহে ফেঁসে গেছেন পিবিআই-এর এসআই
জব্দ তালিকা নিয়ে কারসাজি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
০৫ মার্চ ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জব্দ বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে কারসাজি করায় ফেঁসে গেছেন ঝিনাইদহ পিবিআই-এর এসআই তৌহিদুল ইসলাম। প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতারের সময় উদ্ধার ১৬ লাখ টাকা তৌহিদুল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে প্রতারক চক্রের সদস্যদের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বিদেশি কয়েন, মূল্যবান ধাতব পাত্র, সীমান্ত পিলার, কষ্টিপাথরের মূর্তি বিক্রেতা চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের ঘটনা অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মামলা হওয়ার পর এসআই তৌহিদুলের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচ সদস্য আবু তাহের জবা, মনিরুজ্জামান কামরুল ওরফে জামান, আক্তারুজ্জামান আক্তার ওরফে সালাম, শফিকুল ইমলাম স্বপন ও মোহাম্মদ স্বপন ব্যাপারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাদের ২৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়। ২৭ জানুয়ারি প্রস্তুত করা জব্দ তালিকায় বিদেশি ধাতব মুদ্রাসহ অন্য আলামতের সঙ্গে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার দেখানো হয়। এ সময় আরও ১৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এসআই তৌহিদুল তা জব্দ তালিকায় না দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। আসামি পক্ষের এক নারীর সঙ্গে অডিও কথোপকথন সূত্রে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। অপরদিকে এক আসামির স্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তোলার অপরাধে পিবিআই ঝিনাইদহের কনস্টেবল মুক্তার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, ৬ জানুয়ারি আনন্দ গ্রুপের ঢাকার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এএইচএম মাহবুব আলম সরকার ঝিনাইদহ থানায় তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, একজনের কাছে একটি মূল্যবান কয়েন আছে, যা নাসার গবেষণা কাজে ব্যবহার হয়।
এক আমেরিকান ক্রেতা কয়েনটি কিনতে চান। কিন্তু আমেরিকানরা সেটি সরাসরি কিনতে পারবেন না। কিন্তু আপনার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিক্রি করা সম্ভব। কয়েনটির দাম ১২০০ কোটি টাকা। এরপর আনন্দ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. বারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। প্রতারকরা নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে ঘটনাটি ঘটায়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বভার পিবিআই ঝিনাইদহের এসআই তৌহিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
জব্দ তালিকা নিয়ে কারসাজি
ঝিনাইদহে ফেঁসে গেছেন পিবিআই-এর এসআই
জব্দ বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে কারসাজি করায় ফেঁসে গেছেন ঝিনাইদহ পিবিআই-এর এসআই তৌহিদুল ইসলাম। প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্য গ্রেফতারের সময় উদ্ধার ১৬ লাখ টাকা তৌহিদুল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে প্রতারক চক্রের সদস্যদের দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বিদেশি কয়েন, মূল্যবান ধাতব পাত্র, সীমান্ত পিলার, কষ্টিপাথরের মূর্তি বিক্রেতা চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের ঘটনা অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মামলা হওয়ার পর এসআই তৌহিদুলের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচ সদস্য আবু তাহের জবা, মনিরুজ্জামান কামরুল ওরফে জামান, আক্তারুজ্জামান আক্তার ওরফে সালাম, শফিকুল ইমলাম স্বপন ও মোহাম্মদ স্বপন ব্যাপারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাদের ২৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হয়। ২৭ জানুয়ারি প্রস্তুত করা জব্দ তালিকায় বিদেশি ধাতব মুদ্রাসহ অন্য আলামতের সঙ্গে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার দেখানো হয়। এ সময় আরও ১৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এসআই তৌহিদুল তা জব্দ তালিকায় না দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন। আসামি পক্ষের এক নারীর সঙ্গে অডিও কথোপকথন সূত্রে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। অপরদিকে এক আসামির স্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তোলার অপরাধে পিবিআই ঝিনাইদহের কনস্টেবল মুক্তার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, ৬ জানুয়ারি আনন্দ গ্রুপের ঢাকার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এএইচএম মাহবুব আলম সরকার ঝিনাইদহ থানায় তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, একজনের কাছে একটি মূল্যবান কয়েন আছে, যা নাসার গবেষণা কাজে ব্যবহার হয়।
এক আমেরিকান ক্রেতা কয়েনটি কিনতে চান। কিন্তু আমেরিকানরা সেটি সরাসরি কিনতে পারবেন না। কিন্তু আপনার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিক্রি করা সম্ভব। কয়েনটির দাম ১২০০ কোটি টাকা। এরপর আনন্দ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. বারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। প্রতারকরা নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে ঘটনাটি ঘটায়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্বভার পিবিআই ঝিনাইদহের এসআই তৌহিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়।