একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল ৩ জনের যাবজ্জীবন
দৌলতপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৯ আগস্ট ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে শুকুর আলী নামের এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ তিনজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ তিনজনকে সাজার ক্ষেত্রে রেয়াদ দেওয়ার বিষয়ে আইন ও কারাবিধি অনুযায়ী সব সুবিধা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের অবিলম্বে কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বুধবার এ রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান, এসএম আমিনুল ইসলাম শানু ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। এ মামলায় আপিল বিভাগে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, এ আসামিরা তরুণ। তারা নৃশংসভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশে এখন কিশোর গ্যাংয়ের কথা আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি। তাই এসব আসামির সাজা বহাল রাখা প্রয়োজন।
মামলা থেকে জানা যায়, প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার ওই কিশোরীকে অপহরণ করে। এরপর একটি তামাক খেতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। কারাবন্দি অবস্থায় কামরুল মারা যান। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ১১ মে অপর চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। এ আপিলের ওপর ১১ আগস্ট শুনানি সম্পন্ন হয়। এ অবস্থায় বুধবার রায় দিলেন আপিল বিভাগ।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দৌলতপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা
একজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল ৩ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে শুকুর আলী নামের এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ তিনজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ তিনজনকে সাজার ক্ষেত্রে রেয়াদ দেওয়ার বিষয়ে আইন ও কারাবিধি অনুযায়ী সব সুবিধা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের অবিলম্বে কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বুধবার এ রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান, এসএম আমিনুল ইসলাম শানু ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। এ মামলায় আপিল বিভাগে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, এ আসামিরা তরুণ। তারা নৃশংসভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশে এখন কিশোর গ্যাংয়ের কথা আমরা পত্রপত্রিকায় দেখছি। তাই এসব আসামির সাজা বহাল রাখা প্রয়োজন।
মামলা থেকে জানা যায়, প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে দৌলতপুর উপজেলার ওই কিশোরীকে অপহরণ করে। এরপর একটি তামাক খেতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ শেষে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। কারাবন্দি অবস্থায় কামরুল মারা যান। পরে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ১১ মে অপর চার আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। এ আপিলের ওপর ১১ আগস্ট শুনানি সম্পন্ন হয়। এ অবস্থায় বুধবার রায় দিলেন আপিল বিভাগ।