সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া জাহাজ দেড় মাস পরে উদ্ধার
বাগেরহাট প্রতিনিধি
০১ জুন ২০১৮, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এমভি বিলাসকে দেড় মাস পরে কেটে দুই খণ্ড করে টেনে তোলা হয়েছে। বুধবার রাতে মংলাবন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে তুলে উপকূলের কাইনমারী এলাকায় রাখা হয়েছে। কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাহারা এন্টারপ্রাইজ কয়লা বোঝাই ওই লাইটার জাহাজটি তুলতে মেসার্স হোসেন স্যালভেজকে নিয়োগ দেয়।
১৫ এপ্রিল মংলাবন্দর থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে হারবাড়িয়া ৫ নাম্বার অ্যাংকরে ডুবোচরে আটকে কাত হয়ে ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ওই লাইটার ভ্যাসেলটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদফতর পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুন্দরবনের ভেতরে কয়লা ডুবির ঘটনায় তখন পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মেসার্স হোসেন স্যালভেজের স্বত্বাধিকারী মো. সোহরাব হোসেন মোল্লা জানান, শুরুতে আমরা কয়লা নিয়ে পানির নিচে ডুবে থাকা লাইটার জাহাজ থেকে কয়লা তুলে তা হালকা করে টেনে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। প্রবল জোয়ারের কারণে উদ্ধার কাজ বিঘ্ন হয়েছে। এরপর চট্টগ্রামের দুটি বার্জ এনে জাহাজটি মাঝ থেকে কেটে ফেলি। পরে আমরা সেই জাহাজটিকে টেনে মংলার কাইনমারী খালের মুখে এনে রেখেছি। ৩১ জন শ্রমিক নিয়ে প্রায় দেড় মাস চেষ্টার পর তা তোলা সম্ভব হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া জাহাজ দেড় মাস পরে উদ্ধার
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এমভি বিলাসকে দেড় মাস পরে কেটে দুই খণ্ড করে টেনে তোলা হয়েছে। বুধবার রাতে মংলাবন্দর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে তুলে উপকূলের কাইনমারী এলাকায় রাখা হয়েছে। কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাহারা এন্টারপ্রাইজ কয়লা বোঝাই ওই লাইটার জাহাজটি তুলতে মেসার্স হোসেন স্যালভেজকে নিয়োগ দেয়।
১৫ এপ্রিল মংলাবন্দর থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে হারবাড়িয়া ৫ নাম্বার অ্যাংকরে ডুবোচরে আটকে কাত হয়ে ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ওই লাইটার ভ্যাসেলটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদফতর পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুন্দরবনের ভেতরে কয়লা ডুবির ঘটনায় তখন পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মেসার্স হোসেন স্যালভেজের স্বত্বাধিকারী মো. সোহরাব হোসেন মোল্লা জানান, শুরুতে আমরা কয়লা নিয়ে পানির নিচে ডুবে থাকা লাইটার জাহাজ থেকে কয়লা তুলে তা হালকা করে টেনে তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। প্রবল জোয়ারের কারণে উদ্ধার কাজ বিঘ্ন হয়েছে। এরপর চট্টগ্রামের দুটি বার্জ এনে জাহাজটি মাঝ থেকে কেটে ফেলি। পরে আমরা সেই জাহাজটিকে টেনে মংলার কাইনমারী খালের মুখে এনে রেখেছি। ৩১ জন শ্রমিক নিয়ে প্রায় দেড় মাস চেষ্টার পর তা তোলা সম্ভব হয়েছে।