বায়জিদের দায় নিচ্ছে না কেউ
পদ্মা সেতুর নাট খুলে ধরা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
২৮ জুন ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সদ্য উদ্বোধন হওয়া পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় সিআইডি পুলিশের হাতে আটক বায়জিদকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে তার নিজ জেলায়। সমালোচিত কাণ্ড নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য পোস্ট করছে তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুকে। এছাড়াও ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী সংবলিত বায়েজিদের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। তবে এসব ক্ষেত্রে বায়জিদের দায় নিতে চাচ্ছে না কেউ। তার রাজনৈতক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে বায়জিদ তালহা।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লবের দাবি, বায়জিদ এসএসসি পাশ করে ঢাকায় চলে যায়। সে কখনোই ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বরং বায়জিদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সখ্য আছে। তবে পদ্মা সেতু দেশের অর্জন এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু সেতুর নাট-বল্টু সংযোজনে ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে ঝুঁকিমুক্ত করা উচিত।
এদিকে এক সমাবেশে বিএনপির নেতা প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বায়জিদের ঘনিষ্ঠতার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ঘটনা অস্বীকার করা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আশফাকুর রহমানের সঙ্গেও বায়জিদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অপরদিকে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা রব্বানীর সঙ্গে বায়জিদের ঘনিষ্ঠতার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হৃদয় আশীষ বলেন, নাট-বল্টু খুলে আটক হওয়া বায়জিদ তৎকালীন সময় পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহনের সঙ্গে ছাত্রদলের রাজনীতি করত। এছাড়াও বায়জিদ এনায়েত হোসেন মোহনের আপন চাচাতো ভাই।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পদ্মা সেতুর নাট খুলে ধরা
বায়জিদের দায় নিচ্ছে না কেউ
সদ্য উদ্বোধন হওয়া পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর ঘটনায় সিআইডি পুলিশের হাতে আটক বায়জিদকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে তার নিজ জেলায়। সমালোচিত কাণ্ড নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য পোস্ট করছে তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুকে। এছাড়াও ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী সংবলিত বায়েজিদের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। তবে এসব ক্ষেত্রে বায়জিদের দায় নিতে চাচ্ছে না কেউ। তার রাজনৈতক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে বায়জিদ তালহা।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লবের দাবি, বায়জিদ এসএসসি পাশ করে ঢাকায় চলে যায়। সে কখনোই ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বরং বায়জিদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সখ্য আছে। তবে পদ্মা সেতু দেশের অর্জন এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু সেতুর নাট-বল্টু সংযোজনে ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে ঝুঁকিমুক্ত করা উচিত।
এদিকে এক সমাবেশে বিএনপির নেতা প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের সঙ্গে বায়জিদের ঘনিষ্ঠতার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ঘটনা অস্বীকার করা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আশফাকুর রহমানের সঙ্গেও বায়জিদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অপরদিকে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা রব্বানীর সঙ্গে বায়জিদের ঘনিষ্ঠতার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি হৃদয় আশীষ বলেন, নাট-বল্টু খুলে আটক হওয়া বায়জিদ তৎকালীন সময় পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহনের সঙ্গে ছাত্রদলের রাজনীতি করত। এছাড়াও বায়জিদ এনায়েত হোসেন মোহনের আপন চাচাতো ভাই।