শুল্ক কমার আশায় চাল খালাস করছেন না ব্যবসায়ীরা
jugantor
শুল্ক কমার আশায় চাল খালাস করছেন না ব্যবসায়ীরা

  হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি  

১৮ আগস্ট ২০২২, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ডলার সংকট এবং ভারতে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চাল আমদানি করে অনেকটা লোকসানে পড়েছেন আমদানিকারকরা। লোকসানের আশঙ্কায় বন্দর থেকে চাল খালাস করছেন না ব্যবসায়ীরা। এ কারণে দিনাজপুরের হিলি পানামা পোর্টের ভেতর চালভর্তি শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। লোকসান এড়াতে ব্যাংক মার্জিন কমানোর পাশাপাশি আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) না থাকায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে হিলি দিয়ে সব ধরনের চাল আমদানি বন্ধ ছিল।

দীর্ঘ ৯ মাস পর চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে আমদানি শুরু করে সরকার। ভারতে চালের দাম বৃদ্ধি এবং ডলার সংকটের কারণে শুরুর দিকে চাল আমদানি কিছুটা কম থাকলেও এখন অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ ট্রাক চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গেল মাসের ২৩ জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত ১৯২ ট্রাকে সাত হাজার ৭১৫ টন চাল আমদানি হয়েছে।

হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, বাজারে চাল সরবরাহ কম থাকায় কমছে না চালের দাম। হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যদি বন্দরের চালগুলো বাজারে প্রবেশ করে তাহলে চালের দাম কমে যাবে।

হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, চালের আমদানিতে শুল্ক কমানো হতে পারে এমন সংবাদে বন্দরের আমদানিকারকরা চাল খালাস করছেন না। সরকারে যদি চালের ওপর যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সেটি মওকুফ করে দিলে আমদানি আরও বাড়বে। এতে করে বাজারে চালের দামে অনেকটা প্রভাব পড়বে।

শুল্ক কমার আশায় চাল খালাস করছেন না ব্যবসায়ীরা

 হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
১৮ আগস্ট ২০২২, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

ডলার সংকট এবং ভারতে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চাল আমদানি করে অনেকটা লোকসানে পড়েছেন আমদানিকারকরা। লোকসানের আশঙ্কায় বন্দর থেকে চাল খালাস করছেন না ব্যবসায়ীরা। এ কারণে দিনাজপুরের হিলি পানামা পোর্টের ভেতর চালভর্তি শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। লোকসান এড়াতে ব্যাংক মার্জিন কমানোর পাশাপাশি আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) না থাকায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে হিলি দিয়ে সব ধরনের চাল আমদানি বন্ধ ছিল।

দীর্ঘ ৯ মাস পর চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে আমদানি শুরু করে সরকার। ভারতে চালের দাম বৃদ্ধি এবং ডলার সংকটের কারণে শুরুর দিকে চাল আমদানি কিছুটা কম থাকলেও এখন অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ ট্রাক চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। গেল মাসের ২৩ জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত ১৯২ ট্রাকে সাত হাজার ৭১৫ টন চাল আমদানি হয়েছে।

হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, বাজারে চাল সরবরাহ কম থাকায় কমছে না চালের দাম। হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যদি বন্দরের চালগুলো বাজারে প্রবেশ করে তাহলে চালের দাম কমে যাবে।

হিলি আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, চালের আমদানিতে শুল্ক কমানো হতে পারে এমন সংবাদে বন্দরের আমদানিকারকরা চাল খালাস করছেন না। সরকারে যদি চালের ওপর যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সেটি মওকুফ করে দিলে আমদানি আরও বাড়বে। এতে করে বাজারে চালের দামে অনেকটা প্রভাব পড়বে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন