সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত কয়েকজন শনাক্ত
চবি হলে সংঘর্ষ-ভাঙচুর
চবি প্রতিনিধি
০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এএফ রহমান হলের দেওয়ালে ‘চিকা মারা’ কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই উপ-গ্রুপ। এ সময় তারা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এবং হলের অর্ধশতাধিক কক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করে শাস্তির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো তদন্ত কমিটি গঠন না হলেও জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ চলমান রয়েছে। হলের সিসিটিভি ফুটেজ ও আমাদের কাছে থাকা অন্যান্য ছবি ও ভিডিও দেখে যাদের হাতে অস্ত্র ছিল তাদের শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা আপাতত জানাচ্ছি না। একাডেমিক শাখা থেকে তাদের কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে। অস্ত্রধারী সবার বিরুদ্ধে প্রথমত একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি ব্যবস্থার ব্যাপারে পরে বিবেচনা করা হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডি কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার রাতে হলের দেওয়ালে চিকা মেরে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয় ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। রাত ১০টায় শুরু এ সংঘর্ষ থামে রাত ২টায়। এতে আহত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেয় উভয়পক্ষের প্রায় ১৫ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গুরুতর আহত ভিএক্স উপগ্রুপের একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
চবি হলে সংঘর্ষ-ভাঙচুর
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত কয়েকজন শনাক্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এএফ রহমান হলের দেওয়ালে ‘চিকা মারা’ কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই উপ-গ্রুপ। এ সময় তারা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এবং হলের অর্ধশতাধিক কক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করে শাস্তির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো তদন্ত কমিটি গঠন না হলেও জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ চলমান রয়েছে। হলের সিসিটিভি ফুটেজ ও আমাদের কাছে থাকা অন্যান্য ছবি ও ভিডিও দেখে যাদের হাতে অস্ত্র ছিল তাদের শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা আপাতত জানাচ্ছি না। একাডেমিক শাখা থেকে তাদের কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে। অস্ত্রধারী সবার বিরুদ্ধে প্রথমত একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি ব্যবস্থার ব্যাপারে পরে বিবেচনা করা হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডি কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার রাতে হলের দেওয়ালে চিকা মেরে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ বিজয় ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। রাত ১০টায় শুরু এ সংঘর্ষ থামে রাত ২টায়। এতে আহত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেয় উভয়পক্ষের প্রায় ১৫ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আটজনকে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গুরুতর আহত ভিএক্স উপগ্রুপের একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।