গজারিয়ায় নদীতে গোসলে নেমে ভেসে গেল শিশু
jugantor
কারখানার পানির স্রোত
গজারিয়ায় নদীতে গোসলে নেমে ভেসে গেল শিশু

  গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি  

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে শিহাব হাসান (১১) নামে এক শিশু ভেসে গেছে। নদীতে সংযুক্ত একটি কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপের পানির তোড়ে সে ভেসে যায়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, কারখানার পানির স্রোতে আব্দুল্লাহ আল তামিম (১০) নামে আরও এক শিশু ভেসে গিয়েছিল। পরে নদীর পাড়ে থাকা এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করেন। সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে। নিখোঁজ শিহাব হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে। তারা দু’জনই ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। নদীর ওই জায়গাটি তাদের মাদ্রাসার খুব কাছাকাছি হওয়ায় তারা নিয়মিত সেখানে গোসল করে। জুমার দিন ফুটবল খেলা শেষ তারা সেখানে গোসলে নেমেছিল। প্রত্যক্ষদর্শী রিফাত হোসেন বলেন, শিশুরা যখন গোসল করতে পানিতে নামে তখন তিনিসহ আরও কয়েকজন অদূরে নদীর পাড়ে বসে ছিলেন। তারা যেখানে নামে সেখানে সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঢাকা সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেডের একটি বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপ রয়েছে। পাইপের মুখে পানি প্রবাহের বেগ অনেক বেশি। তারা গোসল করতে নামার কিছুক্ষণ পর এক শিশু দৌড়ে এসে জানায়, দুই শিশু পাইপের মুখের খুব কাছাকাছি চলে যাওয়ায় পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত পানিতে নেমে এক শিশুকে উদ্ধার করলেও আরেকজনকে খুঁজে পাননি।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি বলেন, খবর পেয়ে আমরা নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দশক ধরে নদীর এই অংশ গোসল করেন তারা। পানি অত্যন্ত পরিষ্কার হওয়ায় তারা তা রান্নার কাজেও ব্যবহার করতেন। তবে সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নদীতে বর্জ্য পদার্থ ফেলায় এখন আর এই পানি ব্যবহার করতে পারেন না তারা। গোসল করার জন্য পানিতে নামলে শরীর চুলকায়। এ বিষয়ে জানতে ঢাকা সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেডে গেলে জানানো হয়, সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় অফিসে কেউ নেই। পরে মোবাইলে একাধিক কর্মকর্তাকে কল দেওয়া হলেও তারা কেউ রিসিভ করেননি।

কারখানার পানির স্রোত

গজারিয়ায় নদীতে গোসলে নেমে ভেসে গেল শিশু

 গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি 
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে শিহাব হাসান (১১) নামে এক শিশু ভেসে গেছে। নদীতে সংযুক্ত একটি কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপের পানির তোড়ে সে ভেসে যায়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই তাকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, কারখানার পানির স্রোতে আব্দুল্লাহ আল তামিম (১০) নামে আরও এক শিশু ভেসে গিয়েছিল। পরে নদীর পাড়ে থাকা এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করেন। সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে। নিখোঁজ শিহাব হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে। তারা দু’জনই ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। নদীর ওই জায়গাটি তাদের মাদ্রাসার খুব কাছাকাছি হওয়ায় তারা নিয়মিত সেখানে গোসল করে। জুমার দিন ফুটবল খেলা শেষ তারা সেখানে গোসলে নেমেছিল। প্রত্যক্ষদর্শী রিফাত হোসেন বলেন, শিশুরা যখন গোসল করতে পানিতে নামে তখন তিনিসহ আরও কয়েকজন অদূরে নদীর পাড়ে বসে ছিলেন। তারা যেখানে নামে সেখানে সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঢাকা সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেডের একটি বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপ রয়েছে। পাইপের মুখে পানি প্রবাহের বেগ অনেক বেশি। তারা গোসল করতে নামার কিছুক্ষণ পর এক শিশু দৌড়ে এসে জানায়, দুই শিশু পাইপের মুখের খুব কাছাকাছি চলে যাওয়ায় পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত পানিতে নেমে এক শিশুকে উদ্ধার করলেও আরেকজনকে খুঁজে পাননি।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি বলেন, খবর পেয়ে আমরা নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দশক ধরে নদীর এই অংশ গোসল করেন তারা। পানি অত্যন্ত পরিষ্কার হওয়ায় তারা তা রান্নার কাজেও ব্যবহার করতেন। তবে সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নদীতে বর্জ্য পদার্থ ফেলায় এখন আর এই পানি ব্যবহার করতে পারেন না তারা। গোসল করার জন্য পানিতে নামলে শরীর চুলকায়। এ বিষয়ে জানতে ঢাকা সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেডে গেলে জানানো হয়, সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় অফিসে কেউ নেই। পরে মোবাইলে একাধিক কর্মকর্তাকে কল দেওয়া হলেও তারা কেউ রিসিভ করেননি।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন