পঞ্চগড়সহ পাঁচ জেলায় বেড়েছে চায়ের উৎপাদন
বিগত বছরের তুলনায় ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পঞ্চগড়সহ উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে এক বছরে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে ৩২ লাখ কেজি। ২০২২ মৌসুমে এসব বাগানে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি। আর এ চা উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড়ের আঞ্চলিক উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, এক বছরে এসব বাগান থেকে ৯ কোটি দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬৩২ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়েছে, যা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চলমান ২৫টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
চা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৪শ ৩৩ দশমিক ৯৪ একর। উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি। সেই তুলনায় গত এক বছরে আবাদ বেড়েছে ৬শ ৪৫ দশমিক ১২ একর। আর উৎপাদন বেড়েছে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২শ ২৬ কেজি। সিলেট অঞ্চলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়।
জানা গেছে, পাঁচ জেলায় ১২ হাজার ৭৯ দশমিক শূন্য ৬ একর সমতল জমিতে ৩০টি চা বাগান এবং ৮ হাজারেরও অধিক ছোট আয়তনের চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়েই রয়েছে ১০ হাজার ২শ ৩৯ দশমিক ৮০ একর। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৪শ ৫৭ দশমিক ২৯ একর, লালমনিরহাটে ২শ ২২ দশমিক ৩৮ একর, দিনাজপুরে ৮৯ একর এবং নীলফামারীতে ৭০ দশমিক ৫৯ একর আবাদ রয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্র জানায়, ‘সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা বেশ সম্ভাবনাময়। দিন দিন এসব অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেওয়া হয়।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
পঞ্চগড়সহ পাঁচ জেলায় বেড়েছে চায়ের উৎপাদন
বিগত বছরের তুলনায় ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি
পঞ্চগড়সহ উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে এক বছরে চায়ের উৎপাদন বেড়েছে ৩২ লাখ কেজি। ২০২২ মৌসুমে এসব বাগানে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২২৬ কেজি বেশি। আর এ চা উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড়ের আঞ্চলিক উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন জানান, এক বছরে এসব বাগান থেকে ৯ কোটি দুই লাখ ৭৪ হাজার ৬৩২ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়েছে, যা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটের চলমান ২৫টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এক কোটি ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
চা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৪শ ৩৩ দশমিক ৯৪ একর। উৎপাদন হয়েছিল এক কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি। সেই তুলনায় গত এক বছরে আবাদ বেড়েছে ৬শ ৪৫ দশমিক ১২ একর। আর উৎপাদন বেড়েছে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ২শ ২৬ কেজি। সিলেট অঞ্চলের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন অঞ্চল হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে পঞ্চগড়।
জানা গেছে, পাঁচ জেলায় ১২ হাজার ৭৯ দশমিক শূন্য ৬ একর সমতল জমিতে ৩০টি চা বাগান এবং ৮ হাজারেরও অধিক ছোট আয়তনের চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড়েই রয়েছে ১০ হাজার ২শ ৩৯ দশমিক ৮০ একর। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে এক হাজার ৪শ ৫৭ দশমিক ২৯ একর, লালমনিরহাটে ২শ ২২ দশমিক ৩৮ একর, দিনাজপুরে ৮৯ একর এবং নীলফামারীতে ৭০ দশমিক ৫৯ একর আবাদ রয়েছে।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্র জানায়, ‘সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা বেশ সম্ভাবনাময়। দিন দিন এসব অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চা চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করে স্বল্পমূল্যে উন্নত জাতের চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে কর্মশালা হচ্ছে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে ‘দুটি পাতা একটি কুঁড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, রোগবালাই ও পোকা দমনে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সহায়তা দেওয়া হয়।’