২৬ বছর পর স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন
jugantor
নোয়াখালীতে স্বামী হত্যা
২৬ বছর পর স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন

  নোয়াখালী প্রতিনিধি  

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর আবু সোলাইমান মুহুরী হত্যায় ২৬ বছর পর স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি ও তার প্রেমিকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রহিমাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন-প্রেমিক সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন ও বেগমগঞ্জ উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া। এদের সবাই পলাতক।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম থানায় মামলা করেন স্ত্রী রহিমা। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি পুলিশ। পরের বছরের ২৮ মে সোলাইমান মুহুরীর লাশ পাওয়া যায় সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুরে তারই বাসার খাটের নিচে মাটি খোঁড়ে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান স্ত্রী ধনীসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, স্ত্রী রহিমা, হেঞ্জু মিয়া ও গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে তিনজনই ১৬৪ ধারায় নিজেদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর জামিনে বের হয়ে তারা পালিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, মূলত স্ত্রী রহিমা ও প্রেমিক গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন টাকার লোভ দেখিয়ে হেঞ্জু মিয়াকে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত করেন। মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আব্বাস, মাইনুদ্দিন, হানিফ ও শহিদুল্লাহকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালীতে স্বামী হত্যা

২৬ বছর পর স্ত্রী ও তার প্রেমিকের যাবজ্জীবন

 নোয়াখালী প্রতিনিধি 
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালীতে চাঞ্চল্যকর আবু সোলাইমান মুহুরী হত্যায় ২৬ বছর পর স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি ও তার প্রেমিকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রহিমাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন-প্রেমিক সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন ও বেগমগঞ্জ উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া। এদের সবাই পলাতক।

জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম থানায় মামলা করেন স্ত্রী রহিমা। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি পুলিশ। পরের বছরের ২৮ মে সোলাইমান মুহুরীর লাশ পাওয়া যায় সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুরে তারই বাসার খাটের নিচে মাটি খোঁড়ে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান স্ত্রী ধনীসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বলেন, স্ত্রী রহিমা, হেঞ্জু মিয়া ও গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে তিনজনই ১৬৪ ধারায় নিজেদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর জামিনে বের হয়ে তারা পালিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, মূলত স্ত্রী রহিমা ও প্রেমিক গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন টাকার লোভ দেখিয়ে হেঞ্জু মিয়াকে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত করেন। মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আব্বাস, মাইনুদ্দিন, হানিফ ও শহিদুল্লাহকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন