নির্মাণাধীন ভবনের ইট মাথায় পড়ে শিশু নিহত
jugantor
শেষ খাওয়া হলো না শ্রেয়ার
নির্মাণাধীন ভবনের ইট মাথায় পড়ে শিশু নিহত

  যশোর ব্যুরো  

১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

যশোরের চৌগাছা শহরে নির্মাণাধীন ৫ম তলা ভবন থেকে ইট পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শ্রেয়া বালা (৭)। এ ঘটনায় তার মা বুলি বালা আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

শ্রেয়া শহরের রাগিব আহসান নিহাল আইডিয়াল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী এবং শহরের ৪নং ওয়ার্ডের নিরিবিলিপাড়ার ভাড়াটিয়া শঙ্কর কুমার বালা ও বুলি বালা দম্পতির একমাত্র সন্তান। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার একটি গ্রামে। শ্রেয়ার বাবা দীর্ঘদিন চৌগাছা শহরে বসবাস করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসালয় ও চাঁদশীর (ক্ষত) চিকিৎসালয় পরিচালনা করেন।

শনিবার সকালে শহরের পুরাতন মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে নির্মাণাধীন জিল্লুর রহমানের নির্মাণাধীন ৫ তলা ভবনের ৫ম তলা থেকে ইট পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির সামনে সড়কের বিপরীত পাশেই শ্রেয়ার বাবার চিকিৎসালয়। প্রত্যক্ষদর্শী শাহিনুর রহমান জানান, আমরা তিনজন ঘটনাস্থলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। এ সময় বাচ্চাটি ও তার মা স্কুল থেকে এসে সেখান দিয়ে বাবার দোকানে যাচ্ছিল। হঠাৎই উপর থেকে গাঁথুনি করা কয়েকটি ইট ধসে পড়লে প্রথমে মেয়েটির মা মাটিতে পড়ে যান। পরপরই বাচ্চাটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন বাচ্চাটি রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে শ্রেয়ার মৃত্যু হয়। শ্রেয়ার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেওয়া হয়। শ্রেয়ার মা বুলি বালা জানান, ওকে আমি প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যাই। ক্লাস এবং প্রাইভেট পড়ার পর কিছু সময় খেলাধুলা করে তবে বাড়িতে ফেরে। শনিবার প্রাইভেট শেষ করেই শ্রেয়া আমাকে বলে, মা আমার খুব খিদে পেয়েছে। চল বাবার দোকান থেকে টাকা নিয়ে কিছু খেয়ে তারপর বাড়ি যাব। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি এখন কী নিয়ে থাকব? আমার মেয়ে যে না খেয়েই চলে গেল।

শেষ খাওয়া হলো না শ্রেয়ার

নির্মাণাধীন ভবনের ইট মাথায় পড়ে শিশু নিহত

 যশোর ব্যুরো 
১৯ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

যশোরের চৌগাছা শহরে নির্মাণাধীন ৫ম তলা ভবন থেকে ইট পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শ্রেয়া বালা (৭)। এ ঘটনায় তার মা বুলি বালা আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

শ্রেয়া শহরের রাগিব আহসান নিহাল আইডিয়াল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী এবং শহরের ৪নং ওয়ার্ডের নিরিবিলিপাড়ার ভাড়াটিয়া শঙ্কর কুমার বালা ও বুলি বালা দম্পতির একমাত্র সন্তান। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার একটি গ্রামে। শ্রেয়ার বাবা দীর্ঘদিন চৌগাছা শহরে বসবাস করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসালয় ও চাঁদশীর (ক্ষত) চিকিৎসালয় পরিচালনা করেন।

শনিবার সকালে শহরের পুরাতন মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে নির্মাণাধীন জিল্লুর রহমানের নির্মাণাধীন ৫ তলা ভবনের ৫ম তলা থেকে ইট পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভবনটির সামনে সড়কের বিপরীত পাশেই শ্রেয়ার বাবার চিকিৎসালয়। প্রত্যক্ষদর্শী শাহিনুর রহমান জানান, আমরা তিনজন ঘটনাস্থলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। এ সময় বাচ্চাটি ও তার মা স্কুল থেকে এসে সেখান দিয়ে বাবার দোকানে যাচ্ছিল। হঠাৎই উপর থেকে গাঁথুনি করা কয়েকটি ইট ধসে পড়লে প্রথমে মেয়েটির মা মাটিতে পড়ে যান। পরপরই বাচ্চাটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন বাচ্চাটি রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে শ্রেয়ার মৃত্যু হয়। শ্রেয়ার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেওয়া হয়। শ্রেয়ার মা বুলি বালা জানান, ওকে আমি প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যাই। ক্লাস এবং প্রাইভেট পড়ার পর কিছু সময় খেলাধুলা করে তবে বাড়িতে ফেরে। শনিবার প্রাইভেট শেষ করেই শ্রেয়া আমাকে বলে, মা আমার খুব খিদে পেয়েছে। চল বাবার দোকান থেকে টাকা নিয়ে কিছু খেয়ে তারপর বাড়ি যাব। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি এখন কী নিয়ে থাকব? আমার মেয়ে যে না খেয়েই চলে গেল।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন